ঘোড়ার ডিম। মজার গল্প।
এক যুবক শশুর বাড়ি যাচ্ছিল। সে ছিল ভীষণ বোকা। মাকে বলল, মা আমি শশুর বাড়ি গিয়ে কি করব?
মা বলল সবাইকে সালাম করবে।
আচ্ছা।
এই টাকা গুলি নিয়ে যাও। কি কিনে নিয়ে যাব।
বার বার প্রশ্ন করায় মার হয়ে গেছে রাগ, রেগে গিয়ে মা বলল ঘোড়ার ডিম কিনে নিয়ে যেও।
আচ্ছা।
বোকা যুবক হাঁটতে হাঁটতে বাজারে গেল।
ভাই ঘোড়ার ডিম আছে?
জী না।
এমনি ভাবে অনেক দোকানে খুঁজল কোথাও পেলো না। এক চালাক লোক বুঝতে পারল লোকটি বোকা।
সে বললো, আমার কাছে আছে। টাকা দাও।
একটি তরমুজ দিল। সেতো ওটাকে ঘোড়ার ডিম মনে করে শশুর বাড়ির দিকে ছুটে চলল। কিছু দূর যেতে পেটের মধ্যে চাপ শুরু হয়ে গেল। রাস্তার উপর ঘোড়ার ডিম রেখে বাগানে গেল।
এক শিয়াল তরমুজ ভেঙ্গে খাওয়া শুরু করলো। দূর থেকে বোকা যুবক দেখল। তারপর সে চিৎকার করে বললো, ডিম থেকে ঘোড়ার বাচ্ছা হয়ে গেছে। আনন্দে দৌড়ে আসতে লাগল।
শিয়াল তাকে দেখে ভয়ে দৌড় মারল। সেও শিয়ালের পিছে পিছে দৌড়াতে থাকল। শিয়াল এক সময় একটি গর্তের মধ্যে গিয়ে লুকালো।
বোকা যুবক গর্তের মধ্যে যেতে না পেরে গর্তের মুখের কাছে বসে রইল। শিয়াল এক সময় ঘুমিয়ে পড়ল। সে বসেই রইল। পাশ দিয়ে কেউ গেলে বলে, আমার ঘোড়ার বাচ্ছা এই গর্তে ঢুকে গেছে। বের করে দাও না।
এই শুনে সবাই বলতে লাগলো, পাগল কোথাকার।
এক সময় সন্ধ্যা হয়ে এলো। সে শশুর বাড়ি গেল। বাড়িতে ঢুকে যাকে পায় তাকে সালাম করে। ছোট-বড়, চাকর-বাকর এমনকি বউকে সালাম করতে যাবে-
তখন বউ বলল করো কী?
মা কইছে সবাইরে সালাম করতে।
যাও ঘরে গিয়ে বসো। আর পাগলামি করা লাগবে না।
জান বউ, মা কইছিল ঘোড়ার ডিম কিনতে। আমি বাজার থেকে কিনেছিলাম। পথে এসে বাচ্ছা হয়ে গেল।
থামো, আর পাগলের মত কথা বলোনা। আমি তোমার জন্য খাবার নিয়ে আসছি।
পারলে একটি ঘোড়ার ডিম ভেজে নিয়ে এসো।