আলু এবং বেগুনের গল্প।
একটি গ্রামে একটি মোটা মোটা আলুর পরিবার বসবাস করত। সে পরিবারে বসবাস করত চার সদস্য। মা আলু বাবা আলু আর দুই ভাই, টিংকু আর চিংকু।
প্রতিদিন বাবা আলু পড়াতে যেত। আর মা আলু ওষুধ বানাত আর টিংকু আর চিংকুর যন্ত নিত। টিংকু আর চিংকু এক সাথে খেলতে যেত। আর সময় পেলে অন্যদের সাহায্য করত।
যদি কোনদিন তাদের বাড়ী ফিরতে দেরী হয়ে যেত মা আলু চিন্তিত হয়ে যেত। একবার টিংকু ও চিংকু খেলতে বেরোলো। তার খেলতে খেলতে ক্লান্ত হয়ে একটা সবজির ঝুড়িতে বসে পড়লো। কিন্তু সেই ঝুড়িতে একটি বড় বেগুন যেটা আগে থেকে বসে ছিল। বেগুনটি তাদের দুজনকে ঝুড়ির বাইরে ফেলে দিলো।
তাদেরকে বসতে দিলো না।
বেগুনটি বললো, এই ঝুড়ি শুধুমাত্র আমার জন্য তোদের জন্য নয়।
টিংকু ও চিংকু মাটিতে বসে কাঁদতে লাগল। কারণ বেগুন তাদের ঝুড়ি থেকে ছুঁড়ে ফেলে দিল।
টিংকু ও চিংকু বললো, আমরা জানতাম না এটা তোমার ঝুড়ি।
হাহাহা তোরা কি জানিস। তোরা কি আমার মতন এত লম্বা হা হা হা। বসার জন্য এটা নয়। অন্য জায়গা খুঁজে দেখ, বেগুনটি বললো।
টিংকু আর চিংকু দুজন কাঁদতে কাঁদতে বাড়ি ফিরে আসলো। দুজনকে দেখে তাদের মা জিজ্ঞেস করল। কী হয়েছে টিংকু, টিংকু মায়ের কাছে পুরো ঘটনা বললো। তাদের মা তাদের শান্তনা দিয়ে ঘুম পারিয়ে দিল।
পরবর্তী দিন তারা আবার খেলতে বাইরে বেরোলো। সেই ঝুড়ির পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় তারা ঝুড়ির ভিতরে উকি দিলো। তারা দেখতে চাইছিল যে সেই ঝুড়িতে এখন বেগুনটি আছে কিনা। তারা দেখতে পেল ঝুড়ির ভেতর কেউ নাই। কিন্তু তারা পাশ থেকে বেগুনের কান্না শুনতে পেল। তাকিয়ে দেখল বেগুনটি একলা বসে কাঁদছিলো।
বললো, বেগুন দাদা কি হলো? কাঁদছো কেন?
আমি একটি বিপদে আছি।
কি বিপদ বল আমরা তোমাকে সাহায্য করার চেষ্টা করবো।
আমার মা অনেক অসুস্থ। আমি এখন কি করবো বুঝতে পারছি না।
টিংকু আর চিংকু বললো, চল আমরা তোমাদের বাসায় যাব তোমার মাকে দেখতে। এই বলে তারা বেগুনের বাড়ীতে গিয়ে দেখলো সত্তি বেগুনের মা অনেক অসুস্থ। টিংকু বেগুনের মায়ের যত্ন নিতে শুরু করলো। ওই সময় চিংকু নিজের বাড়ি গেল।
আর ওনার জন্য একটা উপযুক্ত ওষুধ নিয়ে আসলো। সে ওষুধ এনে বেগুনের মাকে খাওয়ালো। এবং বেগুনের মা খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হতে লাগলো। আলুদের এই ব্যবহার দেখে বেগুন আশ্চর্য হলো। আর মনে মনে ভাবতে লাগলো সে দিন তাদের সাথে ওই ব্যবহার করা উচিত হয় নি।
সে ইদিন থেকে বেগুন নিজের মনোভাব পরিবর্তন করল এবং তার বন্ধুদেরও এই শেখালো। শীঘ্রই সব সবজি টিংকু চিংকুর মতন উপকারী হয়ে গেল।