অ্যানালগ কম্পিউটার ও ডিজিটাল কম্পিউটার কাকে বলে? এদের মধ্যে পার্থক্য কি?
অ্যানালগ কম্পিউটার কাকে বলে?
অ্যানালগ কম্পিউটার (Analog computer) হলো এমন কম্পিউটার যা কোনো কম্পিউটিং সমস্যাকে ভৌত বৈশিষ্ট্য যেমন বৈদ্যুতিক, যান্ত্রিক, বা জলবাহী- এর ভৌত এবং চলমান পরিমাপে মডেল হিসেবে রূপ দেয়া হয়।
এক কথায়, যে কম্পিউটার পরিমাপ ও পরিমানের উপর ভিত্তি করে পরিচালিত হয়, তাকে অ্যানালগ কম্পিউটার (Analog computer) বলে।
ডিজিটাল কম্পিউটার কাকে বলে?
ডিজিটাল কম্পিউটার (Digital computer) হলো এমন একটি কম্পিউটার মেশিন যেটা যেকোনো ধরণের information গুলোকে process করতে সাহায্য করে থাকে। এই ডিভাইস গুলো এতটাই দ্রুত কাজ করে থাকে যে সেকেন্ডের থেকেও কম সময়ের মধ্যে আউটপুট প্রদান করতে পারে।
মূলত ডিজিটাল কম্পিউটারগুলি সংখ্যা প্রক্রিয়াজাতকরণের ভিত্তিতে কাজ করে। এক কথায়, একটি কম্পিউটার যা বাইনারি সিস্টেমে প্রক্রিয়া করে অর্থাৎ ০ ও ১ এর উপস্থিতির উপর ভিত্তি করে প্রক্রিয়াকরণের কাজ করে তাকে ডিজিটাল কম্পিউটার বলা হয়।
অ্যানালগ কম্পিউটার ও ডিজিটাল কম্পিউটারের মধ্যে পার্থক্য:
অ্যানালগ কম্পিউটার (Analog computer) | ডিজিটাল কম্পিউটার (Digital computer) |
১. অ্যানালগ কম্পিউটার বাহ্যিক অবস্থার উপর অনেক অংশই নির্ভরশীল। | ১. ডিজিটাল কম্পিউটারের স্মৃতি শক্তির উপর নির্ভর করে। |
২. সাধারণত কেমিক্যাল ল্যাবরেটরির মান নিয়ন্ত্রণে এবং পেট্রোল পাম্পের তেলপ্রবাহের পরিমাণ নির্ণয়ে, বাতাসের চাপ, তাপ, বায়ুপ্রবাহ, বিদ্যুৎ তরঙ্গ, শব্দ তরঙ্গ ইত্যাদি নির্ণয়ের ক্ষেত্রে অ্যানালগ কম্পিউটার ব্যবহৃত হয়। | ২. দৈনন্দিন কাজকর্ম, হিসাব-নিকাশ অতি দ্রুত ও নির্ভুলভাবে সম্পাদনের কাজে ডিজিটাল কম্পিউটার ব্যবহৃত হয়। এর সাহায্যে যোগ, বিয়োগ, গুণ, ভাগ ছাড়াও ডাটা সংগ্রহ, জন্ম মৃত্যু হারের গ্রাফ, সারি ও কলাম তৈরি, নকশা প্রণয়ন ইত্যাদি কাজ করা যায়। |
৩. অ্যানালগ কম্পিউটার ক্রমাগত পরিবর্তনশীল সংকেত বা অ্যানালগ সংকেত ব্যবহার করে। | ৩. ডিজিটাল কম্পিউটার বৈদ্যুতিক সংকেত ০ ও ১ ব্যবহার করে বুলিয়ান অ্যালজেবরার ভিত্তিতে কাজ করে। |
৪. অ্যানালগ কম্পিউটার একটি পরিমাপক-ব্যবস্থা। | ৪. ডিজিটাল কম্পিউটার মূলত একটি সংখ্যাগত ব্যবস্থা।। |
৫. অ্যানালগ কম্পিউটারের আউটপুট সাধারণত কাটার মাধ্যমে দেখানো হয়। | ৫. ডিজিটাল কম্পিউটারের আউটপুট স্ক্রীনে দেখানো হয়। |
৬. অ্যানালগ কম্পিউটারে খরচ কম। | ৬. ডিজিটাল কম্পিউটারে খরচ বেশি। |
৭. অ্যানালগ কম্পিউটারের গতি ডিজিটাল কম্পিউটারের চেয়ে কম। | ৭. ডিজিটাল কম্পিউটারের গতি অ্যানালগ কম্পিউটারের চেয়ে বেশি। |
৮. অ্যানালগ কম্পিউটার সরবরাহকৃত উপাত্তগুলোকে বৈদ্যুতিক ভোল্টে রূপান্তর করে। | ৮. ডিজিটাল কম্পিউটার সংখ্যা, বর্ণ বা চিহ্নকে সরাসরি বৈদ্যুতিক ছন্দে রূপান্তর করে। |
৯. অ্যানালগ কম্পিউটারে প্রাপ্ত ফলাফলের সূক্ষ্মতা ও নির্ভরযোগ্যতা কম। | ৯. ডিজিটাল কম্পিউটারে প্রাপ্ত ফলাফলের সূক্ষ্মতা ও নির্ভরযোগ্যতা অনেক বেশি। |
১০. যেমন গাড়ির স্পীডমিটার, হার্টের বিট মাপার যন্ত্র ইত্যাদি। | ১০. পারসোনাল কম্পিউটার, মিনি কম্পিউটার, মাইক্রো কম্পিউটার ইত্যাদি। |