ব্যান্ডউইথ (Bandwidth) কাকে বলে? ব্যান্ডউইথ কত প্রকার ও কি কি?
ব্যান্ডউইথ (Bandwidth) কাকে বলে?
প্রতি সেকেন্ডে যে পরিমাণ ডেটা স্থানান্তরিত হয় তাকে ব্যান্ডউইথ (Bandwidth) বলে। ব্যান্ডউইথ পরিমাপ করা হয় ডেটার পরিমাণ হিসাবে, যা একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে একটি নেটওয়ার্কের মধ্যে এক বিন্দু থেকে অন্য স্থানে স্থানান্তর করা যায়। সাধারণত, ব্যান্ডউইথকে বিটরেট হিসাবে প্রকাশ করা হয় এবং বিট প্রতি সেকেন্ডে বিপিএস (bps) পরিমাপ করা হয়।
অন্যভাবে বললে বলা যায়, এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে বা এক স্থান থেকে অন্য স্থানে ডেটা স্থানান্তরের হারকে ডেটা ট্রান্সমিশন স্পীড বলে। এ ট্রান্সমিশন স্পীডকে অনেক সময় ব্যান্ডউইথ (Bandwidth) বলা হয়।
ব্যান্ডউইথ কত প্রকার ও কি কি?
ডেটা ট্রান্সমিশন স্পীড বা ব্যান্ডউইথ তিন প্রকার। যথা:
১. ন্যারো ব্যান্ড (Narrow Band)
২. ভয়েস ব্যান্ড (Voice Band)
৩. ব্রড ব্যান্ড (Broad Band)
ন্যারো ব্যান্ড (Narrow Band):
যে ব্যান্ডে প্রতি সেকেন্ডে ৪৫ বিপিএস (bps) হতে ৩০০ বিপিএস (bps) গতিতে ডেটা ট্রান্সফার (স্থানান্তর) করা যায় তাকে ন্যারো ব্যান্ড (Narrow Band) বলে। এই ব্যান্ডটি খুবই ধীর গতি সম্পন্ন। টেলিগ্রাফিতে ন্যারো ব্যান্ড ব্যবহৃত হয়। অত্যন্ত ধীর গতি সম্পন্ন হওয়ায় বর্তমানে এই ব্যান্ডটি ব্যবহৃত হয় না বললেই চলে।
ভয়েস ব্যান্ড (Voice Band):
যে ব্যান্ডে প্রতি সেকেন্ডে ১২০০ বিপিএস (bps) হতে সবোচ্চ ৯৬০০ বিপিএস (bps) বা ৯.৬ kbps (Kilo bit per second) গতিতে ডেটা ট্রান্সমিট করা যায় তাকে ভয়েস ব্যান্ড (Voice Band) বলে।
সাধারণত টেলিফোনে এ ধরনের ব্যান্ড ব্যবহার করা হয়। তাছাড়া কম্পিউটার থেকে প্রিন্টারে ডেটা ট্রান্সমিট করার জন্যও ভয়েস ব্যান্ড (Voice Band) ব্যবহার করা হয়।
ব্রড ব্যান্ড (Broad Band):
যে ব্যান্ডে কমপক্ষে ১ Mbps (Mega bit per second) হতে অত্যন্ত উচ্চগতি পর্যন্ত হয়ে থাকে তাকে ব্রডব্রান্ড বলা হয়। এর সবোচ্চ গতি আনলিমিটেড। এটা হতে পারে কয়েক শত Mbps বা তার চেয়েও অনেক বেশি।
সাধারণত উচ্চগতি সম্পন্ন ডেটা স্থানান্তরে ব্রডব্রান্ড ব্যবহৃত হয়। ফাইবার অপটিক্যাল ডেটা স্থানান্তরে ব্রডব্যান্ড ব্যবহৃত হয়। তাছাড়া স্যাটেলাইট কমিউনিকেশন, রেডিও লিংক ও মাইক্রোওয়েভ কমিউনিকেশনেও ব্রড ব্যান্ড ব্যবহৃত হয়।