যেসব অভ্যাস আপনাকে স্মার্ট হতে সাহায্য করবে।

মানুষের কিছু অভ্যাস থাকে যা অনেক ভিড়ের মধ্যেও তাদের অনন্য করে তুলতে পারে। এই অভ্যাস এবং ক্রিয়াকলাপগুলি মানুষকে কেবল সক্রিয় করে না বরং ক্রমাগত উন্নতি দিকে নিয়ে যেতে সাহায্য করে।

সবার থেকে আলাদা এবং স্মার্ট হতে হলে আপনাকে ব্যতিক্রমী কিছু করতে হবে। এই ব্যতিক্রমী ক্রিয়াকলাপগুলির জন্য আপনাকে ভিন্ন কিছু অভ্যাস গ্রহণ করতে হবে যা অন্যদের থেকে আপনাকে স্মার্ট করে তোলে। আপনি এই ছোট ছোট অভ্যাসের মাধ্যমে খুব সহজেই নিজেকে বুদ্ধিমান ও স্মার্ট করে তুলতে পারেন।

যেসব অভ্যাস আপনাকে স্মার্ট হতে সাহায্য করবে তা নিচে আলোচনা করা হল-

প্রশ্ন করা এবং উত্তর খোঁজা:

প্রশ্ন করা হল শেখার একটি চাবিকাঠি। আপনি প্রশ্ন করার মাধ্যমে জ্ঞানের অর্জন করতে পারেন। প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা আপনাকে বুদ্ধিমান করে তুলতে পারে। সবকিছু সম্পর্কে নিজেকে প্রশ্ন করতে হবে এবং এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে নিজেকে বাধ্য করতে হবে। এটি বুদ্ধিজীবী মনের অভ্যাস।

আপনি যত বেশি প্রশ্ন করবেন আপনি তত বেশি উত্তর পাবেন। আপনার পর্যবেক্ষণের ক্ষমতা শক্তিশালী হয়ে ওঠে এবং জীবন সম্পর্কে চিন্তাভাবনার পরিবর্তন ঘটে।

নিজের সম্পর্কে লিখুন:

আপনার নিজের সম্পর্কে লেখা একটি গুরুত্বপূর্ণ জিনিস। আপনি যখন নিজের সম্পর্কে লেখেন তখন আপনি আত্ম-বিশ্লেষণ করার সুযোগ পান। বুদ্ধিমান লোকেরা অন্য মানুষের থেকে নিজের কথা বেশি চিন্তা করেন।

তারা তাদের ত্রুটি খুঁজে বের করার চেষ্টা করে থাকে এবং সেগুলো দূর করার চেষ্টা করে। তারা তাদের নিজের ধারণা এবং পরিকল্পনা সম্পর্কে চিন্তা করে।

নিজের সম্পর্কে লেখা হল আত্ম-উন্নতির সর্বোত্তম পদ্ধতি যা মানুষকে স্মার্ট করে তুলতে পারে। আপনাকে একটি ডায়েরি নিতে হবে এবং প্রতিদিন নিজের সম্পর্কে লিখতে হবে।

অন্যদের দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা:

একক দৃষ্টিকোণ থেকে সবকিছু দেখা এবং অন্যদের কথা না শুনে অন্যকে ভুল মনে করা উচিত নয়। যদি আমরা উভয় দিক থেকে দেখি তাহলে আমরা সহজেই সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারবো। তাই শুধুমাত্র এক দিক থেকে বিচার করা বন্ধ করুন।

নিজেই অন্য ব্যক্তির জায়গা থেকে ভাবার চেষ্টা করুন। আপনি যখন কোন জিনিস একাধিক দিক থেকে দেখেন, তখন আপনি কোন কিছুর সব দিক সম্পর্কে সঠিকভাবে জানতে পারেন।

একজন স্মার্ট মানুষ হতে হলে আপনাকে প্রত্যেকের দৃষ্টিকোণ থেকে সবকিছু বিচার করতে হবে। স্মার্ট লোকেরা সবার কথা শোনে এবং তারপর তাদের মতামত দেয়।

সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় দ্বন্দ্ব থেকে বিরত থাকা:

বুদ্ধিমান ব্যক্তি রাজনৈতিক, ধর্মীয় বা সাংস্কৃতিক দ্বন্দ্বে সময় নষ্ট করে না। কারো সামনে তাদের সংস্কৃতি সঠিক বা ভুল তা প্রমাণ করার চেষ্টা করে না। কারণ আপনার মন এই দ্বন্দ্বে আটকে থাকলে আপনি আপনার লক্ষ্যে ফোকাস করতে পারবেন না।

এক্ষেত্রে স্মার্ট ব্যক্তিরা কিছু কৌশল অবলম্বন করে থাকে। তারা নিজেদের বিশ্বাস এবং সংস্কৃতির অনুসরণ করে এবং অন্যদের সাংস্কৃতিক ধর্মীয় বিশ্বাসকে সম্মান করে থাকে।

বই পড়া:

বই পড়া জ্ঞানের চাবিকাঠি। পড়া আপনার যুক্তিকে শক্তিশালী করে। আপনি যদি একজন সফল ব্যক্তি হতে চান তাহলে আপনাকে সফল ব্যক্তিদের জীবন সম্পর্কে জানতে হবে। তারা কীভাবে এই অবস্থানে পৌঁছেছে তা আপনার জানা উচিত।

আপনার জীবনে কি কি পরিবর্তন আনা প্রয়োজন তা আপনি এখান থেকেই জানতে পারবেন। তারা জীবনে কী ভুল করেছে তা জানতে হবে এবং আপনার সেই ভুলগুলি সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। কারণ বুদ্ধিমান লোকেরা অন্যের ভুল থেকে শিক্ষা নেয়।

প্রতিদিনের করণীয় তালিকা তৈরি করা:

আপনাকে দৈনিক করণীয় তালিকা তৈরি করতে হবে যাতে আপনার প্রতিদিনের সময়সূচী লিখে রাখতে পারেন। আপনাকে সারা দিনের তালিকা তৈরি করে রাখতে হবে। এছাড়াও, আপনি যেভাবে আপনার সময় পরিচালনা করতে চান তা লিখে রাখুন।

কারণ যখন আপনার সময়সূচির একটি তালিকা করা থাকে, তখন আপনাকে শুধু বাস্তবায়নে মনোনিবেশ করতে হয় এতে আপনার সময়ও নষ্ট হয় না। এটি একটি স্মার্ট কৌশল। তাই একজন স্মার্ট ব্যক্তি হতে হলে প্রতিদিনের করণীয় তালিকা তৈরি করুন।

আপনার অর্জনগুলি লিখুন:

বিছানায় যাওয়ার আগে ডায়েরি খুলতে হবে যেখানে আপনি আপনার করণীয় তালিকা তৈরি করেছেন। আপনাকে যাচাই করতে হবে যে আপনি আজকের সব কাজ সম্পূর্ণ করেছেন কিনা। আপনার আজকের সমস্ত অর্জন সম্পর্কেও লিখতে হবে।

এটি আপনাকে পরের দিনের জন্য অনুপ্রাণিত করবে এবং আপনি যে কৌশল অবলম্বন করেছেন তা সঠিক কিনা নিশ্চিত হতে পারবেন। এটি স্মার্ট এবং বুদ্ধিমান ব্যক্তিদেরও একটি অভ্যাস। আপনি যদি একজন স্মার্ট মানুষ হতে চান তবে আপনার প্রতিদিনের করণীয় তালিকা তৈরি করুন।

ইন্টারনেটে শিক্ষামূলক ভিডিও দেখা:

ইন্টারনেট অনেক কাজে ব্যবহৃত হয়। মানুষ তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী এটি ব্যবহার করে থাকে। আপনি যদি সচেতনতার সাথে ইন্টারনেট ব্যবহার করেন তবে এটি স্মার্ট হতে আপনাকে সাহায্য করবে। ইন্টারনেট সব দিক থেকে জ্ঞানে পরিপূর্ণ।

এটি ইতিবাচক এবং নেতিবাচক উভয় উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা যায়। আপনি যদি আপনার জ্ঞান এবং দক্ষতা উন্নত করতে চান তাহলে আপনি ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারেন এটি আপনাকে স্মার্ট হতে সাহায্য করতে পারে।

রেফারেন্স: