চর্যাপদ বিষয়ক প্রশ্ন ও উত্তর।

চর্যাপদ বাংলা ভাষার প্রাচীনতম পদ সংকলন তথা সাহিত্য নিদর্শন। নব্য ভারতীয় আর্য ভাষারও প্রাচীনতর রচনা এটি। খ্রিষ্টীয় অষ্টম থেকে দ্বাদশ শতাব্দীর মধ্যবর্তী সময়ে রচিত এই গীতিপদাবলির রচয়িতারা ছিলেন সহজিয়া বৌদ্ধ সিদ্ধাচার্যগণ।

প্রশ্নঃ চর্যাগীতির পুঁথি কত খ্রিস্টাব্দে আবিষ্কৃত হয়?
উত্তরঃ ১৯০৭
প্রশ্নঃ চর্যাগীতির পুঁথি আবিষ্কারের নাম কি?
উত্তরঃ হরপ্রসাদ শাস্ত্রী
প্রশ্নঃ হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর উপাধি কি?
উত্তরঃ মহামহোপাধ্যায়
প্রশ্নঃ কোথা থেকে চর্যাগীতির পুঁথি আবিষ্কৃত হয়?
উত্তরঃ নেপালের রাজদরবারের গ্রন্থাগার থেকে
প্রশ্নঃ প্রথম চর্যাগীতির তিব্বতী অনুবাদের পুঁথির সন্ধান কে পেয়েছিলেন?
উত্তরঃ সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়
প্রশ্নঃ নব চর্যাপদের আবিষ্কারক বা সংগ্রাহক কে?
উত্তরঃ ড.শশীভূষণ দাশগুপ্ত
প্রশ্নঃ ড. শশীভূষণ দাশগুপ্ত নব চর্যাপদ কবে আবিষ্কার করেন?
উত্তরঃ ১৯৬৩
প্রশ্নঃ নব চর্যাপদ গ্রন্থটির সম্পাদক কে?
উত্তরঃ ড. অসিতকুমার বন্দোপাধ্যায়
প্রশ্নঃ ড. অসিতকুমার বন্দোপাধ্যায় সুযোগ্য সম্পাদনায় নব চর্যাপদ গ্রন্থটি প্রথম প্রকাশিত হয় কবে?
উত্তরঃ ১৯৮৯
প্রশ্নঃ চর্যাগীতির পুঁথির পত্রগুলি কি দ্বারা নির্মিত?
উত্তরঃ তালপাতা
প্রশ্নঃ চর্যাগীতির পুঁথি টির লিপি কোন লিখিত?
উত্তরঃ প্রাচীন বাংলা এবং নেওয়ারি অক্ষরে
প্রশ্নঃ চর্যাগীতির পুঁথির শেষ পত্র সংখ্যা কত?
উত্তরঃ ৬৯
প্রশ্নঃ চর্যাগীতির পুঁথিতে মোট কতগুলি পদ সংকলিত হয়েছিল?
উত্তরঃ ৫০ টি
প্রশ্নঃ চর্যাগীতি পুঁথির প্রকৃত নাম কি থেকে জানা যায়?
উত্তরঃ চর্যাগীতির পুঁথির তিব্বতী অনুবাদ থেকে
প্রশ্নঃ চর্যাগীতি পুঁথির প্রকৃত নাম কি?
উত্তরঃ চর্যাগীতিকোষবৃত্তি
প্রশ্নঃ কে প্রথম ভাষাতাত্ত্বিক বিশ্লেষণের (ধ্বনিতত্ত্ব, ব্যাকরণ ও ছন্দ) মাধ্যমে চর্যাগীতির রচনাকাল নির্নয়ে সচেষ্ট হয়েছিলেন?
উত্তরঃ সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়
প্রশ্নঃ তিব্বতী এবং ভারতীয় কিংবদন্তি অনুযায়ী মোট সিদ্ধাচার্য সংখ্যা কত?
উত্তরঃ ৮৪
প্রশ্নঃ চর্যাগীতির পুঁথিতে মোট কতজন সিদ্ধাচার্য নাম পাওয়া যায়?
উত্তরঃ ২৩, মতান্তরে ২৪ জন
প্রশ্নঃ চর্যা গানের রচয়িতারা ছিলেন?
উত্তরঃ তান্ত্রিক বৌদ্ধ
প্রশ্নঃ চর্যাগীতির পুঁথির প্রথম পদটি কার রচিত?
উত্তরঃ লুইপাদ
প্রশ্নঃ লুইপাদ রচিত গ্রন্থের নাম?
উত্তরঃ শ্রীভগবদভিসময়, অভিসময়বিভঙ্গ, তত্ত্বস্বভাত-দোহাকোষ-গীতিকাদৃষ্টিনাম
প্রশ্নঃ চর্যাগীতির পুঁথির সর্বশেষ পদটি কার রচিত?
উত্তরঃ শবরপাদ
প্রশ্নঃ চর্যাগীতির পুঁথিতে কার সর্বাধিক পদ গৃহীত হয়েছে?
উত্তরঃ কাহ্নপাদ
প্রশ্নঃ চর্যাগীতির টীকা কে রচনা করেছেন?
উত্তরঃ মুনিদত্ত
প্রশ্নঃ চর্যাগীতির সংস্কৃত টীকাকার মুনিদত্ত আনুমানিক যে শতাব্দীতে বর্তমান ছিলেন?
উত্তরঃ চতুর্দশ শতাব্দী
প্রশ্নঃ চর্যাপদের তিব্বতী অনুবাদক কে?
উত্তরঃ শীলচারী
প্রশ্নঃ কোন সিদ্ধাচার্যের পদে গঙ্গা যমুনা নদীর উল্লেখ আছে?
উত্তরঃ ডোম্বীপাদ
প্রশ্নঃ কোন সিদ্ধাচার্যের পদে পদ্মা নদীর উল্লেখ আছে?
উত্তরঃ কাহ্নপাদ
প্রশ্নঃ কোন চর্যাকার নিজেকে বঙ্গালি ঘোষণা করেছিলেন?
উত্তরঃ ভুসুকুপাদ
প্রশ্নঃ হাড়িত ভাত নাহি নিতি আবেশী- এই পংক্তির রচয়িতা কে?
উত্তরঃ ঢেণ্ঢণ পাদ
প্রশ্নঃ চর্যাগীতির ভাষা কোন ভাষাগোষ্ঠীর অন্তর্গত?
উত্তরঃ নব্য ভারতীয় আর্য
প্রশ্নঃ হরপ্রসাদ শাস্ত্রী কতৃক আবিষ্কৃত চর্যাগীতিগুলি কোন ভাষায় রচিত?
উত্তরঃ প্রাচীন বাংলা
প্রশ্নঃ হরপ্রসাদ শাস্ত্রী কতৃক আবিষ্কৃত চর্যাগীতিগুলিকে কে প্রথম হিন্দি ভাষায় রচিত বলে দাবী করেছিলেন?
উত্তরঃ বিজয়চন্দ্র মজুমদার
প্রশ্নঃ চর্যাগীতিগুলির উপর কোন ভাষার উত্তরাধিকার সবচেয়ে দুর্বল?
উত্তরঃ হিন্দি
প্রশ্নঃ দুলি দুহি পিটা ধরন না জাই। —- “দুলি” শব্দটির অর্থ কি?
উত্তরঃ কচ্ছপ
প্রশ্নঃ তিন ন চ্ছুপই হরিণা—- বাক্যাংশ “চ্ছুপই” শব্দের অর্থ?
উত্তরঃ ছোঁয়া
প্রশ্নঃ চর্যাপদের ছন্দ রীতিকে বলা হয়?
উত্তরঃ প্রত্নপ্রাকৃত
প্রশ্নঃ চর্যাপদ ছন্দের মূল ভিত্তি কি?
উত্তরঃ পাদাকুলক
প্রশ্নঃ চর্যাগীতিতে কোন গানের উল্লেখ আছে?
উত্তরঃ রাগরাগিনী
প্রশ্নঃ সর্বাধিক চর্যাগীতি কোন রাগে রচিত হয়েছে?
উত্তরঃ পটমঞ্জরি
প্রশ্নঃ হরপ্রসাদ শাস্ত্রী কর্তৃক উদ্ধারীকৃত চর্যাগীতিগুলিতে মাত্র একবার ব্যবহৃত হয়েছে এমন রাগের সংখ্যা কত?
উত্তরঃ ১০
প্রশ্নঃ হরপ্রসাদ শাস্ত্রী কর্তৃক উদ্ধারীকৃত চর্যাগীতিগুলিতে মাত্র দুবার ব্যবহৃত হয়েছে এমন রাগের সংখ্যা কত?
উত্তরঃ ২ টি