পদ্মা সেতুর কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।
পদ্মা সেতু বাংলাদেশের পদ্মা নদীর উপর নির্মিত একটি বহুমুখী সড়ক ও রেল সেতু। এর মাধ্যমে মুন্সিগঞ্জের লৌহজংয়ের সাথে শরীয়তপুর ও মাদারীপুর জেলা যুক্ত হয়েছে। ফলে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অংশের সাথে উত্তর-পূর্ব অংশের সংযোগ ঘটেছে।
চলতি বছরের ২৫ জুন পদ্মা সেতুর উদ্ভোদনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। দুই স্তর বিশিষ্ট স্টিল ও কংক্রিট নির্মিত ট্রাস ব্রিজটির ওপরের স্তরে থাকবে চার লেনের সড়ক পথ এবং নিচের স্তরটিতে থাকবে একটি একক রেলপথ।
বিশ্বের ১১ তম দীর্ঘ সেতুর পুরো নাম “পদ্মা বহুমুখী সেতু”।
দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২৯ টি জেলার সঙ্গে পদ্মা সেতু ত্বরান্বিত হবে।
পদ্মা সেতু নির্মাণের জন্য ৯১৮ হেক্টর জমি অধিগ্রহণ করতে হয়েছে।
পদ্মা সেতুর নির্মাণ প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড।
পদ্মা সেতুর মাধ্যমে মুন্সীগঞ্জ জেলার লৌহজংয়ের সঙ্গে শরীয়তপুর ও মাদারীপুর জেলার সরাসরি সংযোগ স্থাপিত হয়েছে।
পদ্মা সেতুর সংযোগ সড়কের দূরত্ব ১৪ কিলোমিটার।
পদ্মা সেতুর সংযোগ সড়ক হচ্ছে জাজিরা ও মাওয়া।
পদ্মা সেতুর নকশা প্রণয়ন করেছে আমেরিকার মাল্টিন্যাশনাল ইঞ্জিনিয়ারিং ফার্ম AECOM.
পদ্মা সেতুর দৈর্ঘ্য (পানির অংশের) ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার। তবে ডাঙার অংশ ধরলে সেতুটির মোট দৈর্ঘ্য প্রায় ৯ কিলোমিটার।
পদ্মা সেতুর প্রস্থ ১৮ দশমিক ১৫ মিটার (৫৯.৪ ফুট)।
পদ্মা সেতুর উপরের তলায় চার লেনের সড়ক ও নিচতলায় করা হয়েছে রেললাইন।
পানির স্তর থেকে এই অত্যাধুনিক সেতুর উচ্চতা ৬০ ফুট এবং এর পাইলিং গভীরতা ৩৮৩ ফুট।
পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০১৪ সালের ৭ ডিসেম্বর।
পদ্মা সেতুটি রক্ষণাবেক্ষণ করেছে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ এবং তদারকির দায়িত্ব পালন করেছে কোরিয়ান এক্সপ্রেসওয়ে ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
পদ্মা সেতুর স্থানাঙ্ক ২৩.৪৪৬০ ডিগ্রি (উত্তর) এবং ৯০.২৬২৩ ডিগ্রি (পূর্ব)।
পদ্মা সেতুর প্রতিটি স্প্যানের দৈর্ঘ্য ১৫০ মিটার এবং প্রতিটি স্প্যানের ওজন ৩ হাজার ২০০ টন।
পদ্মা সেতুর নিকটতম সেনানিবাস হলো পদ্মা সেনানিবাস।
পদ্মা সেতু দিয়ে প্রতিদিন গড়ে ৭৫ হাজার যানবাহন চলাচল করবে।
পদ্মা সেতুর ভায়াডাক্ট ৩ দশমিক ১৮ কিলোমিটার এবং পিলার ৮১ টি। মোট স্প্যান সংখ্যা ৪১ টি।
রিখটার স্কেলে ৯ মাত্রার ভূমিকম্পে টিকে থাকার মতো করে পদ্মা সেতু নির্মাণ করা হয়েছে।