ব্যথা কমাতে গরম সেঁক বা ঠান্ডা সেঁক কোনটি বেশি উপকারী?
আমরা অনেকেই বিভিন্ন শারীরিক ব্যথায় ভুগে থাকি। কখনো ঘাড়ে, কোমরে, পিঠে, হাতে বা পায়ে ব্যথায় ভুগি। এসব ব্যথা থেকে স্বস্তি পেতে গরম ও ঠাণ্ডা পানির সেঁক দিয়ে থাকি অনেকেই। তবে কোনটি ব্যথা কমাতে কার্যকরী, তা হয়তো আমরা অনেকেই জানি না? ব্যথার ধরন বুঝে সঠিক সেঁক না দিলে উপকার পাওয়া যাবে না।
সেঁক সাধারণত দুই ধরনের হয়। একটি হলো গরম সেঁক আর অন্যটি হলো ঠান্ডা সেঁক। কিন্তু কখন গরম সেঁক বা ঠান্ডা সেঁক দিতে হবে, কোনটাতে কী উপকার, তা নিয়ে অনেকেই নানা দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভুগি। তাই কোন ব্যথায় কোন সেঁক দিলে উপকার পাওয়া যাবে তা আগে থেকে জেনেই সেঁক দিতে হবে।
গরম সেঁক :
দীর্ঘদিনের ব্যথা, বাতের ব্যথা, মাংসপেশি শক্ত হয়ে যাওয়া, অস্টিওআর্থ্রাইটিস, জয়েন্ট বা লিগামেন্ট শক্ত হয়ে যাওয়া, কোমর ও ঘাড়ের দীর্ঘমেয়াদি কোনো ব্যথা বা আঘাত, টেন্ডনে আঘাতজনিত ব্যথায় গরম সেঁক খুবই কার্যকরী।
যখন মাংসপেশি বা অস্থিসন্ধিতে গরম সেঁক দেওয়া হয়, তখন রক্তনালি প্রসারিত হয় ও রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায়। এর ফলে আক্রান্ত স্থানে অক্সিজেন এবং প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ বেড়ে যায়। সুষ্ঠুভাবে রক্ত চলাচল হয় বলে সংশ্লিষ্ট জায়গায় ব্যথা কমে এবং আরাম বোধ হয়।
হট ওয়াটার ব্যাগে গরম পানি ভরে সেঁক দিতে পারেন। দিনে ২-৩ বার ১৫-২০ মিনিট করে সেঁক দিতে পারেন। আবার কুসুম গরম পানিতে তোয়ালে বা গামছা ভিজিয়ে ব্যথার স্থানে ১৫-২০ মিনিট করে দিনে ৩-৪ বার সেঁক দিতে পারেন।
ঠান্ডা সেঁক বা বরফ সেঁক :
আচমকা হটাৎ করে শরীরের যেকোনো জায়গায় আঘাত পেলে, গেঁটে বাত, মাইগ্রেনজনিত মাথাব্যথা, মচকে যাওয়া কিংবা খেলার সময় প্রাপ্ত আঘাতে বরফ সেঁক বা ঠান্ডা সেঁক খুবই উপকারী।
যখন মাংসপেশি বা অস্থিসন্ধিতে ঠান্ডা সেঁক বা বরফ সেঁক দেওয়া হয়, তখন রক্ত চলাচল হ্রাস পায়। এর ফলে আক্রান্ত স্থানে ফোলা ও প্রদাহ অনেকাংশে কমে যায়। এতে করে সংশ্লিষ্ট জায়গায় ব্যথা কমে যায় এবং আরাম বোধ হয়।
ঠান্ডা পানিতে নরম কাপড় ভিজিয়ে ১০-১৫ মিনিট মালিশ করতে হবে। এছাড়া একটি নরম কাপড়ে বরফের টুকরা বা প্যাক নিয়ে আক্রান্ত স্থানে ৫ মিনিট বৃত্তাকারে ম্যাসাজ বা মালিশ করুন। এটি দিনে ২-৫ বার করতে পারেন।