বিভিন্ন প্রাণীর ক্রোমোজোম সংখ্যা।
কোষের নিউক্লিয়াস মধ্যস্থ নিউক্লিয় জালিকা থেকে উৎপন্ন নিউক্লিওপ্রোটিন দিয়ে গঠিত সপ্রজননশীল যে সূত্রাকার অংশ জীবের বংশগতি ও বংশগত বৈশিষ্ট্য বহন করে এবং প্রজাতির পরিব্যক্তি প্রকরণ ও বিবর্তনের মুখ্য ভূমিকা পালন করে, তাই ক্রোমোজোম।
ক্রোমোজোম হচ্ছে বংশগতির প্রধান উপাদান। ক্রোমোজোম ডিঅক্সিরাইবোনিউক্লিক এসিড বা ডিএনএ বা জীন অণু ধারণ করে এবং ডিএনএ-এর মাধ্যমে প্রোটিন সংশ্লেষ করে।
বিজ্ঞানী স্ট্রাসবার্গার (Strasburger) (১৮৭৫) সর্বপ্রথম ক্রোমোজোম আবিষ্কার করেন। কাজের উপর ভিত্তিকরে ক্রোমোজোম দুই প্রকার, দেহজ বৈশিষ্ট্য নিয়ন্ত্রণকারী জিনকে ক্রোমোজোমকে অটোজম (Autosome) এবং যৌন বৈশিষ্ট্য নিয়ন্ত্রণকারী ক্রোমোজোমকে যৌন বা লিঙ্গ নির্ধারক ক্রোমোজোম (Sex chromosome) বলে।
প্রাণীর নাম | ক্রোমোজোম সংখ্যা |
---|---|
মানুষ | ৪৬ |
গরিলা | ৪৮ |
ইঁদুর | ২১ |
খরগোস | ৪৪ |
গরু | ৬০ |
ছাগল | ৬০ |
বানর | ৪২ |
ঘোড়া | ৬৪ |
গাধা | ৬২ |
কুকুর | ৭৮ |
বিড়াল | ৩৮ |
ভেড়া | ৫৪ |
বাঘ | ৩৮ |
সিংহ | ৩৮ |
হাতি | ৫৬ |
হরিন | ৬৮ |
শিয়াল | ৭৪ |
পান্ডা | ৪২ |
ভাল্লুক | ৫২ |
ক্যাঙ্গারু | ১৬ |
ব্যাঙ | ২৬ |
জিরাফ | ৩০ |
গন্ডার | ৮৪ |
কুমির | ৩০-৪২ |
শূকর | ৩৮ |
ময়ূর | ৭৬ |
মুরগি | ৭৮ |
লাল পিপড়ে | ৪৮ |
পায়রা | ৮০ |
কেঁচো | ৩৬ |
কচ্ছপ | ২৮-৬৬ |
বাদুড় | ৪২-৪৬ |
ঈগল | ৬৬ |
কাক | ৮০ |
প্রজাপতি | ৩৬০ |
ঘাস ফড়িং | ২৪ |
মাছি | ১২ |
মশা | ৬ |
মৌমাছি | ৩২ |
শকুন | ৮০ |
রুই মাছ | ৫০ |
কাতলা মাছ | ৫০ |
জেলিফিশ | ৪৪ |
গোখরো সাপ | ৩৮ |
চিংড়ি | ৮৬-৯২ |
হাঙ্গর | ৮২ |
নীল তিমি | ৪৪ |