কারক কাকে বলে? কারক কত প্রকার ও কি কি?

কারক কাকে বলে?


কারক শব্দটির অর্থ হলো- যা ক্রিয়া সম্পাদন করে। এর সন্ধিবিচ্ছেদ হলো কৃ + ণক = কারক। বাক্যস্থিত ক্রিয়াপদের সঙ্গে নামপদের যে সম্পর্ক, তাকে কারক বলে। অর্থ্যাৎ, বাক্যে ক্রিয়াপদের সাথে বিশেষ্য বা সর্বনাম পদের যে সম্পর্ক থাকে, তাকে কারক বলে।

কারকের সম্পর্ক বোঝাতে বিশেষ্য ও সর্বনাম পদের সঙ্গে সাধারণত বিভক্তি ও অনুসর্গ যুক্ত হয়। বাক্যস্থ কোনো পদের সঙ্গে ক্রিয়াপদের সম্পর্ক বিদ্যমান থাকলে শুধুমাত্র তখনই কারক হবে।

কারক কত প্রকার ও কি কি?


কারক প্রধানত ছয় প্রকার। যথা:

১. কর্তৃকারক
২. কর্মকারক
৩. করণ কারক
৪. সম্প্রদান কারক
৫. অপাদান কারক
৬. অধিকরণ কারক

কর্তৃকারক:



Authority

বাক্যস্থিত যে বিশেষ্য বা সর্বনাম পদ ক্রিয়া সম্পন্ন করে, তাকে কর্তৃকারক বলে। অর্থাৎ, ক্রিয়াকে কে বা কারা দ্বারা প্রশ্ন করলে যে উওর পাওয়া যায় তাই কর্তৃকারক। যেমন– আমি স্কুলে যাই। এখানে ‘আমি’ কর্তৃকারক।

কর্মকারক:



Functional

যাকে আশ্রয় করে কর্তা কাজ সম্পন্ন করে, তাকে কর্ম কারক বলে। ক্রিয়ার সঙ্গে কি বা কাকে দ্বারা প্রশ্ন করলে উত্তরে কর্ম কারক পাওয়া যায়। যেমন– রহিম বল খেলে, অর্পি বই পড়ে। এখানে ‘বল’ এবং ‘বই’ কর্মকারক।

করণ কারক:



Doer

কর্তা যার সাহায্যে বা যাকে দিয়ে ক্রিয়া সম্পন্ন করে, তাকে করণ কারক বালে। বাক্যস্থিত ক্রিয়াপদের সঙ্গে কিসের দ্বারা বা কি দ্বারা (কি দিয়ে) প্রশ্ন করলে উত্তরে করণ কারক পাওয়া যায়। যেমন– আমরা চোখ দিয়ে দেখি, আমরা কলম দিয়ে লিখি। এখানে ‘চোখ দিয়ে’ এবং ‘কলম দিয়ে’-এ শব্দগুলাে করণ কারক।

সম্প্রদান কারক:



Contributors

যাকে স্বত্ব ত্যাগ করে কোনাে কিছু দান করা হয়, তাকে সম্প্রদান কারক বলে। যেমন– ভিক্ষুককে ভিক্ষা দাও, অন্ধজনে দয়া কর। এখানে ‘ভিক্ষুককে’ এবং ‘অন্ধজনে’ সম্প্রদান কারক।

অপাদান কারক:



Destroyer

যা হতে কোনাে কিছু চলিত, পতিত, গৃহিত, উৎপন্ন, নির্গত ইত্যাদি বুঝায় তাকে অপাদান কারক বলে। যেমন– মেঘ থেকে বৃষ্টি হয়, তিল থেকে তৈল হয়। এখানে ‘মেঘ’ এবং ‘তিল’ অপাদান কারক।

অধিকরণ কারক:



Occupancy factor

ক্রিয়া যে স্থানে, যে সময়ে বা যে বিষয়ে সম্পন্ন হয়, তাকে অধিকরণ কারক বলে। অর্থাৎ, ক্রিয়া সম্পাদনের সময়, স্থান এবং আধারকে অধিকরণ কারক বলে। যেমন– পুকুরে মাছ আছে, বসন্তে কোকিল ডাকে। এখানে ‘পুকুর’ এবং ‘বসন্তে’ অধিকরণ কারক।