ওয়াইম্যাক্স (Wi-Max) কি? ওয়াইম্যাক্স (Wi-Max) এর সুবিধা এবং অসুবিধা সমূহ।

ওয়াইম্যাক্স (Wi-Max) কাকে বলে?


WiMAX এর পূর্ণরূপ হচ্ছে (Worldwide Interoperability for Microwave Access) ওয়ার্ল্ডওয়াইড ইন্টারঅপারেবিলিটি ফর মাইক্রোওয়েভ অ্যাকসেস। এটি IEEE 802.16 স্ট্যান্ডার্ডের ওয়্যারলেস মেট্রোপলিটন এরিয়া নেটওয়ার্ক (WMAN) প্রটোকল যা ফিক্সড এবং মোবাইল ইন্টারনেটে ব্যবহৃত হয়।

WiMAXx

WiMAX হলো এমন এক ধরনের ইন্টারনেট টেকনোলজি যা অধিক দূরত্ব পর্যন্ত তারহীন ইন্টারনেট সেবা দিতে সক্ষম। সহজ কথায় WiMAX হলো একটি তার বিহীন ব্রডব্যান্ড প্রযুক্তি। WiMAX ক্যবল নেটওয়ার্ক ও মোবাইল ডাটার বিকল্প হিসেবে ব্যবহার কার হয়।

ওয়াইম্যাক্স (Wi-Max) এর সুবিধা সমূহ:


ওয়াইম্যাক্স (Wi-Max) এর সুবিধা সমূহ:
১. ওয়াইম্যাক্স (Wi-Max) অপেক্ষাকৃত অধিক মানসম্মত ও অধিক নিরাপত্তা সুবিধা সংবলিত ওয়্যারলেস প্রটোকল।
২. ডেটা আদান প্রদান, টেলিযোগাযোগ, টিভি সার্ভিস ইত্যাদি বিভিন্ন কাজে ব্যাপক সহায়তা প্রদান করে ওয়াইম্যাক্স।
৩. বর্তমানে ওয়াইম্যাক্স (Wi-Max) ওয়্যারলেস ইন্টারনেট সুবিধা প্রদানকারী সর্বাধুনিক প্রযুক্তি।
৪. WiMAX এর কাভারেজ এরিয়া ১০ কি.মি. থেকে ৬০ কি.মি.পর্যন্ত হয়ে থাকে।
৫. অন্যান্য নেটওয়ার্কের তুলনায় খরচ অপেক্ষকৃত কম।
৬. একক একটি স্টেশনের মাধ্যমে হাজার হাজার ব্যবহারকারীকে ইন্টারনেট সেবা দেয়া যায়।
৭. নতুন ব্যবহারকারী অধিক দ্রুত যোগাযোগ করতে পারে।
৮. ডেটা ট্রান্সমিশন রেট ৪০ mbps থেকে ৭০ mbps পাওয়া যায়।
৯. বিভিন্ন ধরনের ডিভাইসের মাধ্যমে শহর এবং গ্রামে পোর্টেবল মোবাইল ব্রড ব্যান্ড সংযোগ প্রদান করে।
১০. ফ্রিকোয়েন্সি ব্যান্ড লাইসেন্স বা লাইসেন্সবিহীন উভয়ই হতে পারে।

ওয়াইম্যাক্স (Wi-Max) এর অসুবিধা সমূহ:


ওয়াইম্যাক্স (Wi-Max) এর অসুবিধা সমূহ:
১. WiMAX এ অধিক বিদ্যুৎ ব্যবহৃত হয় বিধায় বেশি বিদ্যুতের প্রয়োজন হয়।
২. নেটওয়ার্কের অন্যান্য ওয়্যারলেস ডিভাইস সিগন্যালে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারে।
৩. দূরত্ব বেশি হলে একাধিক বেস স্টেশনের প্রয়োজন হয়। ফলে খরচ বেড়ে যায়।
৪. সরকারের অনুমোদন নিয়ে WiMAX সার্ভিস প্রদানের লাইসেন্স নিতে হয়।
৫. খারাপ আবহাওয়া (যেমন- ঝড়, বৃষ্টি) তে সিগনাল সমস্যা দেখা দেয়।
৬. অধিক ব্যয়বহুল ও রক্ষণাবেক্ষণ খরচ বেশি।
৭. WiMAX ৫০ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বে ৭০ মেগাবিট/সেকেন্ড এর বেশি গতি প্রদান করতে পারে না।