বাক্য কাকে বলে? ভাব প্রকাশের দিক থেকে বাক্য কত প্রকার ও কি কি?
বাক্য কাকে বলে?
যে পদ বা পদসমষ্টি দ্বারা বক্তার মনোভাব সম্পূর্ণরূপে প্রকাশ পায়, তাকে বাক্য বলে। অর্থ্যাৎ, কতকগুলো শব্দ পাশাপাশি বসে মনের ভাব সম্পূর্ণরপে প্রকাশ করলে, তাকে বাক্য বলা হয়। যেমন: আমি ভাত খাই, সে স্কুলে যায়, মিনা গান গায়, পাখিরা আকাশে ওড়ে ইত্যাদি।
শব্দের পর শব্দ সাজিয়ে বাক্য তৈরি হয়। সাজানো শব্দগুলো দ্বারা মনের ভাব সম্পূর্ণরুপে প্রকাশ পেতে হবে। মনের ভাব সম্পূর্ণরূপে প্রকাশ না পেলে বাক্য হবে না।
ভাব প্রকাশের দিক থেকে বাক্য কত প্রকার ও কি কি?
ভাব প্রকাশের দিক থেকে বাক্য পাঁচ প্রকার। যথা:
১. বিবৃতিমূলক বাক্য
২. প্রশ্নবোধক বাক্য
৩. অনুজ্ঞাসূচক বাক্য
৪. ইচ্ছাসূচক বাক্য
৫. বিস্ময়সূচক বাক্য
বিবৃতিমূলক বাক্য:
যে বাক্যে দ্বারা কোনো কিছুর সাধারণ বিবৃতি বা বিবরণ দেওয়া হয়, তাকে নির্দেশক বাক্য বা বিবৃতিমূলক বাক্য বলে। অর্থ্যাৎ, যে বাক্য দ্বারা সাধারণভাবে কোনো কিছু বর্ণনা করা হয়, তাকে বিবৃতিমূলক বাক্য বলে। যেমনঃ গাভী দুধ দেয়। আম খেতে সুস্বাধু।
প্রশ্নবোধক বাক্য:
যে বাক্যে কোনো ঘটনা, ভাব বা অবস্থা সম্পর্কে কোন কিছু জানতে চেয়ে প্রশ্ন করা হয় তাকে প্রশ্নবোধক বা প্রশ্নোত্মক বাক্য বলা হয়। অর্থ্যাৎ, যে বাক্য দ্বারা প্রশ্ন করা বুঝায়, তাকে প্রশ্নবোধক বাক্য বলে। যেমনঃ তোমার নাম কী? তোমার বাড়ি কোথায়?
অনুজ্ঞাসূচক বাক্য:
যে বাক্য দ্বারা আদেশ, অনুরোধ, উপদেশ ইত্যাদি অর্থ প্রকাশিত হয়, তাকে অনুজ্ঞাসূচক বাক্য বলে। যেমনঃ এখন পড়তে যাও। দয়া করে তুমি আমার কাজটি করে দাও। অন্যের দুঃখ দেখে মজা নিও না।
ইচ্ছাসূচক বাক্য:
যে বাক্যের দ্বারা বক্তর মনের ইচ্ছা, আকাঙ্ক্ষা বা কামনা প্রকাশ পায় তাকে প্রার্থনাসূচক বাক্য বা ইচ্ছাসূচক বাক্য বলে। যেমন: ঈশ্বর তোমার মঙ্গল করুন। ছেলেটা সুস্থ হয়ে উঠুক। জীবনে অনেক বড় হও।
বিস্ময়সূচক বাক্য:
যে বাক্য দ্বারা মনের আকস্মিক আবেগ, সুখ, দুঃখ, হাসি, কান্না ইত্যাদি প্রকাশ করা হয়, তাকে বিস্ময়সূচক বাক্য বলে। যেমনঃ হুররে! আমরা খেলায় জিতেছি। বাহ! কী সুন্দর পাখি। সে কী ভীষণ ব্যাপার!