কিভাবে একটি ভালো সিভি তৈরি করবো?

আমরা অনেকেই সিভি লিখি কোনো চাকরিতে আবেদন করার জন্য। আর এই সিভি দেখেই প্রাথমিক ভাবে একজন নিয়োগদাতা প্রার্থী বাছাই করেন।

এক্ষেত্রে আমাদের সিভিটি সুন্দর না হলে বাছাই পর্ব থেকে বাদ পড়তে পারি। তাই একটি ভালো সিভি তৈরি করা প্রত্যেক চাকরি সন্ধানীদের খুব প্রয়োজন।

ভালো সিভির বৈশিষ্ট্য:

ভালো সিভি তৈরী করার নিয়ম গুলোর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি আলোচনা নিচে আলোচনা করা হলো।

ক্যারিয়ার লক্ষ্য :

প্রথমত উপরের দিকে ক্যারিয়ার লক্ষ্য থাকা উচিৎ। এই ক্যারিয়ারের লক্ষ্য নির্ধারন করতে হবে অবশ্যই আপনি যে চাকরিতে আবেদন করবেন সেই চাকরির সাথে সঙ্গতি রেখে।

প্রতিবার আবেদন করার সময় খেয়াল রাখতে হবে যে আমাদের  ক্যারিয়ার লক্ষ্যটা চাকরির সাথে সঙ্গতিপূর্ণ  কিনা।

মানসম্মত আকার:

একটি প্রাথমিক পর্যায় এর সিভি কখনো দুই পৃষ্ঠার বেশি হবে না। যখন সিভি লেখা হবে তখন এটিকে দুই  পৃষ্ঠার মধ্যে সিমাবদ্ধ করা উচিৎ।

আপনার যদি চাকরিতে বেশ কিছু অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে আপনি তিন পৃষ্ঠা করতে পারেন তবে সিভি খুব বেশি বড় করা ঠিক নয় যে কথা গুলো জানানো দরকার তা সংক্ষেপে জানানো উচিৎ।

শব্দ বা ভাষা নির্বাচন:

শব্দ বা ভাষা নির্বাচনের ক্ষেত্রেও আপনার যত্নবান থাকা উচিৎ সিভিতে এমন কোনো ভাষা ব্যবহার করা উচিৎ নয় যেটা মার্জিত নয় বা আমরা যেটা আঞ্চলিক হিসাবে ব্যবহার করি।

সঠিক তথ্য প্রদান:

আপনি যেসব তথ্য দিবেন অবশ্যই তা সঠিক হতে হবে। যে তথ্য গুলো সর্ম্পকে আপনি সঠিক ভাবে অবগত নয় সে সব তথ্য দেওয়া থেকে বিরত থাকুন।

ব্যক্তিগত তথ্য:

ব্যক্তিগত তথ্য ছাড়া কোনো সিভি সম্পন্ন হয় না তাই সিভিতে অবশ্যই  ব্যক্তিগত তথ্য রাখবেন। নিজেকে যোগ্য হিসাবে উপস্থাপন করার জন্য যে ধরনের কাজ গুলো আগে করা আছে তা উল্লেখ করুন।

ছবি যুক্ত করন:

আপনার সিভিতে অবশ্যই একটি পাসপোর্ট সাইজের ছবি যুক্ত করুন এবং ছবিটি যেন মার্জিত হয় আপনাকে দেখে যেন একজন ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন মানুষ মনে হয়।

আর ছবিটি যেন বেশি দিনের পুরানো না হয়। সদ্য তোলা ছবি দিতে হবে।

প্রতিষ্ঠান  অনুযায়ী সিভি তৈরি করা:

বিভিন্ন চাকরির ক্ষেত্রে আপনার তথ্য ও অভিজ্ঞতা ভিন্ন রকম হতে পারে এসব দিক খেয়াল রেখে প্রতিষ্ঠান অনুযায়ী তার সাথে সম্পর্ক রেখে আপনার সিভিটি তৈরি করুন এবং আলাদা আলাদা ভাবে প্রতিষ্ঠান গুলোতে পাঠান।

যোগাযোগের তথ্য:

একটা সিভিতে অবশ্যই আপনার সাথে যোগাযোগের জন্য যে তথ্য গুলো রয়েছে সেই তথ্য গুলো উল্লেখ করা উচিৎ যেমন মোবাইল নাম্বার বা আপনার সাথে যোগাযোগের স্থায়ী ঠিকানা অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে।

আমরা যখন সিভি তৈরি করবো তখন এসব বিষয় গুলো খেয়াল রাখার চেষ্টা করবো। তাহলে আমরা ভালো সিভি তৈরি করতে পারবো।