জমি কেনার আগে কি কি আইনি বিষয় জেনে নেওয়া দরকার।
বয়স ৮০ বা ১০০ ছুঁই ছুঁই তারপরও মানুষের বেঁচে থাকার আশা যেমন নিরন্তর তেমনি ধন সম্পত্তি অর্জনের লোভ মানুষের শেষ হয় না। আর সম্পত্তির কথা বলতে গেলে প্রথমে আসে ভূমি বা জমির বিষয়। কারণ এই জমির উপরেই মানুষ গড়ে তোলে সম্পদের পাহাড়।
বর্তমানে প্রতিটা পরিবারের আশা একখণ্ড জমির মালিক হওয়া এবং খাই বা না খাই নিজের জমিতে নিজের একটা বাড়ি থাকবে। জনবিস্ফোরোন্মুখ বাংলাদেশে নিম্নলিখিত বিষয়গুলো না জানা থাকলে টাউট-বাটপার, দালাল, অসাধু চক্রের হাতে পড়ে আপনি সর্বশান্ত হতে পারেন।
রাজধানী, বিভাগীয় শহর, উপশহর ও শহরতলিতে ঝুঁকিতো আরো অনেক বেশি।
যে বিষয়গুলো আপনি জেনে নিবেন
- বিক্রেতার সম্পত্তিতে কি ভাবে অধিকার বা স্বত্ব সৃষ্টি হইয়াছে তা যাচাই করা। যেমন : জমিটি সে উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছে না ক্রয়সূত্রে মালিক হয়েছে না অন্য কোনো উপায়ে।
- বিক্রেতার বাস্তব দখল আছে কিনা সরেজমিনে যাচাই করা।
- বিক্রয়কৃত সম্পত্তির সি.এস / এস.এ এবং বি.আর.এস রেকর্ড ভালোভাবে যাচায় করা। সি এস বা এস এ কত নং খতিয়ানের কত নং দাগের কি পরিমান জমি বি আর এস কত নং খতিয়ানে কত নং দাগে অন্তর্ভুক্ত হইয়াছে তা যাচাই করা।
- বিক্রয়কৃত জমি বিক্রেতার নামে কোনো mutation বা নামজারি করা আছে কিনা। নামজারি করা থাকলে সহকারী কমিশনার ভূমি (এসি ল্যান্ড ) অফিসে নামজারির সত্যতা যাচাই করা।
- বিক্রয়কৃত সম্পত্তির দাগ, খতিয়ান ও বিক্রেতার নাম দিয়ে রেজিস্ট্রি অফিসে কমপক্ষে ১০-বছরের একটি সার্চ বা তদন্ত করা যে এই সম্পত্তি অন্য কারো কাছে বিক্রয় হইয়াছে কিনা।
- বিক্রেতা কোন খাজনা দাখিলা দিলে তা তহশীল অফিসে গিয়ে উক্ত খতিয়ানে খাজনা বকেয়া আছে কিনা তা যাচাই করা।
- বিক্রয়কৃত সম্পত্তিটি কোনো সংস্থা /ব্যাক্তি/ প্রতিষ্ঠানের নিকট ঋণে আবদ্ধ কিনা, কোনো মামলা মকদ্দমা আছে কিনা, অর্পিত সম্পত্তির তালিকায় আছে কিনা।
- বিক্রেতার সম্পত্তিটি এজমালি সম্পত্তি বা শরিকগানের সহিত একত্রে ভোগদখলকৃত সম্পত্তি হলে বিক্রেতার অংশের সুনির্দিষ্ট বন্টননামা আছে কিনা। বন্টননামা না থাকলে বিক্রেতার অংশ সুনির্দিষ্টভাবে দখল চিহ্নিত করা আছে কিনা।
- বিক্রয়কৃত সম্পত্তির চৌহদ্দি ও আইল সীমানা সঠিক আছে কিনা তা যাচাই করা এবং বিক্রেতাকে দিয়ে তা ঠিক করা।