কাজের আনন্দ কবিতা।

নবকৃষ্ণ ভট্টাচার্য একজন বিশিষ্ট কবি ও শিশুসাহিত্যিক। তিনি ২৯ এপ্রিল ১৮৫৯ সালে হাওড়ায় জন্ম গ্রহণ করেন। তার পিতার নাম রাজনারায়ণ তর্কবাচস্পতি। কবি সংস্কৃত কলেজিয়েট স্কুলে এনট্রান্স পর্যন্ত পড়েন। তার রচিত প্রথম কবিতা ভারতী পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। নবকৃষ্ণ ভট্টাচার্য সখা পত্রিকার সম্পাদনা করেন ১৮৯৩ থেকে ১৮৯৪ সাল পর্যন্ত।

শিশু-সাহিত্যিক হিসেবে খ্যাতি পেয়েছিলেন নবকৃষ্ণ ভট্টাচার্য। তার রচনার মধ্যে রয়েছে শিশুরঞ্জন রামায়ণ (১৮৯১), ছেলেখেলা (১৮৯৮), টুকটুকে রামায়ণ (১৯১০), পুষ্পাঞ্জলী (১৯৩৪), ছবির ছড়া (১৯৩৬) প্রভৃতি।

তার জনপ্রিয় বিখ্যাত কবিতার মধ্যে রয়েছে ‘গোকুলে মধু ফুরায়ে গেল আঁধার আজি কুঞ্জবন’, ‘মৌমাছি মৌমাছি কোথা যাও নাচি নাচি’, ‘কাজের আনন্দ’ প্রভৃতি। তিনি ১৯৩৯ সালের ৪ সেপ্টেম্বর মৃত্যু বরণ করেন।

কাজের আনন্দ

নবকৃষ্ণ ভট্টাচার্য

—————————

মৌমাছি, মৌমাছি
কোথা যাও নাচি নাচি
দাঁড়াও না একবার ভাই।

ওই ফুল ফোটে বনে
যাই মধু আহরণে
দাঁড়াবার সময় তো নাই।

ছোট পাখি, ছোট পাখি
কিচিমিচি ডাকি ডাকি
কোথা যাও, বলে যাও শুনি।

এখন না কব কথা
আনিয়াছি তৃণলতা
আপনার বাসা আগে বুনি।

পিপীলিকা, পিপীলিকা
দলবল ছাড়ি একা
কোথা যাও, যাও ভাই বলি।

শীতের সঞ্চয় চাই
খাদ্য খুজিতেছি তাই
ছয় পায়ে পিলপিল চলি।