হাইব্রিড টপোলজি (Hybrid Topology) কাকে বলে? হাইব্রিড টপোলজির (Hybrid Topology) সুবিধা ও অসুবিধা কি?

হাইব্রিড টপোলজি (Hybrid Topology) কাকে বলে?


বাস, স্টার, রিং ইত্যাদি টপোলজির সমন্বয়ে গঠিত নেটওয়ার্ক টপোলজিকে হাইব্রিড টপোলজি (Hybrid Topology) বলে। উদাহরণস্বরূপ, ইন্টারনেটকে এ ধরনের টপোলজি হিসেবে অভিহিত করা যায়। কেননা ইন্টারনেট হলো বৃহৎ পরিসরের একটি নেটওয়ার্ক যেখানে সব ধরনের টপোলজির মিশ্রণ দেখা যায়।

Hybride

এ টপোলজিতে প্রয়োজন অনুযায়ী নেটওয়ার্ক বৃদ্ধি করার সুযোগ রয়েছে। কোন সমস্যা দেখা দিলে তা সহজেই নির্ণয় করা সম্ভব হয়। কোন এক অংশ নষ্ট হয়ে গেলে সম্পূর্ণ নেটওয়ার্ক নষ্ট না হয়ে অংশবিশেষ নষ্ট হয়ে যায়।

হাইব্রিড টপোলজির (Hybrid Topology) সুবিধা ও অসুবিধা কি?


হাইব্রিড টপোলজির (Hybrid Topology) সুবিধা সমূহ:
১. অনেক ধরনের topology থাকার ফলে হাইব্রিড টপোলজিতে (Hybrid Topology) তথ্য প্রেরণ অনেক দ্রুত করা যায়।
২. হাইব্রিড টপোলজিতে (Hybrid Topology) প্রয়োজন অনুযায়ী নেটওয়ার্ক বৃদ্ধি করার সুযোগ রয়েছে।
৩. হাইব্রিড টপোলজিতে (Hybrid Topology) কোন এক অংশ নষ্ট হয়ে গেলে সম্পূর্ণ নেটওয়ার্ক নষ্ট না হয়ে অংশবিশেষ নষ্ট হয়ে যায়।
৪. নেটওয়ার্কে কোন সমস্যা দেখা দিলে তা সহজেই নির্ণয় করা যায়।
৫. হাইব্রিড টপোলজিতে (Hybrid Topology) ত্রুটি সংশোধন করা খুব সহজ।
৬. হাইব্রিড টপোলজিতে (Hybrid Topology) খুব সহজেই নতুন কোন নোড (Node) যুক্ত করা যায়।
৭. হাইব্রিড টপোলজি (Hybrid Topology) বড় আকারের নেটওয়ার্কের জন্য সুবিধাজনক।
৮. হাইব্রিড টপোলজিতে (Hybrid Topology) রিকভার বা পুনঃস্থাপন করা খুব সহজ।

Hybrid

হাইব্রিড টপোলজির (Hybrid Topology) অসুবিধা সমূহ:
১. হাইব্রিড টপোলজির বড় অসুবিধা হলো হাইব্রিড নেটওয়ার্কের নকশা বা ডিজাইন করা। হাইব্রিড নেটওয়ার্কের আর্কিটেকচার ডিজাইন করা খুব কঠিন।
২. হাইব্রিড টপোলজির (Hybrid Topology) রক্ষণাবেক্ষণ প্রক্রিয়া জটিল।
৩. হাইব্রিড টপোলজিতে (Hybrid Topology) ব্যবহৃত হাব (Hub) সর্বদা সচল রাখতে হয়। হাব (Hub) সর্বদা সচল রাখার কারনে বিদ্যুৎ খরচ বেশি হয়।
৪. অন্য সব টপোলজির তুলনায় হাইব্রিড টপোলজিতে (Hybrid Topology) খরচ তুলনামূলক বেশি হয়ে থাকে।
৫. হাইব্রিড টপোলজির (Hybrid Topology) ইন্সটলেশন ও কনফিগারেশন বেশ জটিল প্রকৃতির।
৬. হাইব্রিড টপোলজিতে (Hybrid Topology) প্রচুর ক্যাবলিং, নেটওয়ার্ক ডিভাইস ইত্যাদির প্রয়োজন হওয়ায় কাঠামোর ব্যয় খুব বেশি।