রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবনী।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম ১৮৬১ সালের ৭ মে (২৫ বৈশাখ ১২৬৮)। জন্মস্থান কলকাতার জোড়াসাকোঁর বিখ্যাত ঠাকুর পরিবারে।
তিনি ছিলেন অগ্রণী বাঙালি কবি, ঔপন্যাসিক, সংগীতস্রষ্টা, নাট্যকার, চিত্রকর, ছোটগল্পকার, প্রাবন্ধিক, অভিনেতা, কণ্ঠশিল্পী ও দার্শনিক।
তাকে বাংলা ভাষার সর্বশ্রেষ্ঠ সাহিত্যিক মনে করা হয়। রবীন্দ্রনাথকে “গুরুদেব”, “কবিগুরু” ও “বিশ্বকবি” অভিধায় ভূষিত করা হয়।
রবীন্দ্রনাথের ৫২টি কাব্যগ্রন্থ, ৩৮টি নাটক, ১৩টি উপন্যাস ও ৩৬টি প্রবন্ধ ও অন্যান্য গদ্যসংকলন তার মৃত্যুর পরে প্রকাশিত হয়।
তার সর্বমোট ৯৫টি ছোটগল্প ও ১৯১৫টি গান যথাক্রমে গল্পগুচ্ছ ও গীতবিতান সংকলনের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
এছাড়া তিনি প্রায় দুই হাজার ছবি এঁকেছিলেন। ১৯১৩ সালে গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থের ইংরেজি অনুবাদের জন্য তিনি সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।
শৈশবে প্রথাগত বিদ্যালয়-শিক্ষা তিনি গ্রহণ করেননি। শৈশবে গৃহশিক্ষকের কাছে বিভিন্ন বিষয়ে তাঁর লেখাপড়ার হাতেখড়ি হয়। এরপর তিনি কলকাতা নর্মাল স্কুলে ভর্তি হন।
তিনি পড়াশোনার জন্য ১৭ বছর বয়সে বিলাত যান। সেখানে ব্রাইটন পাবলিক স্কুল ও লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন।।
আট বছর বয়সে তিনি কবিতা লেখা শুরু করেন। ১৯২১ সালে গ্রামোন্নয়নের জন্য তিনি শ্রীনিকেতন নামে একটি সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন।
১৯২৩ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্বভারতী প্রতিষ্ঠিত হয়। দীর্ঘজীবনে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বহুবার বিদেশ ভ্রমণ করেন এবং সমগ্র বিশ্বে বিশ্বভ্রাতৃত্বের বাণী প্রচার করেন।
তিনি ১৯১৩ সালে এশিয়ার সর্বপ্রথম সাহিত্যে নোবেল পুরুস্কার পান। তাঁর বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ হলো মানসী, সোনার তরী, চিত্রা, চৈতালী, ‘সোনার তরী’, চিত্রা, বলাকা, মানসী, কল্পনা, গীতাঞ্জলি।
তাঁর বিখ্যাত নাটক হলো ডাকঘর, বিসর্জন, রক্তকরবী, অচলায়তন। তাঁর বিখ্যাত উপন্যাস হলো গোরা, নৌকাডুবি, শেষের কবিতা, চোখের বালি। তাঁর রচিত গানের সংখ্যা প্রায় আড়াই হাজার।
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯৪১ সালের ৭ আগস্ট (১৩৪৮ বঙ্গাব্দের ২২ শ্রাবণ) দীর্ঘ রোগভোগের পর কলকাতার পৈত্রিক বাসভবনেই তার মৃত্যু হয়।


 
             
             
             
             
             
             
             
            