ডস (DOS) ও উইন্ডোজ (WINDOWS) কাকে বলে? ডস ও উইন্ডোজ এর বৈশিষ্ট্য কি কি?

ডস (DOS) কাকে বলে?


DOS এর পূর্ণরূপ হলো Disk Operating System. DOS একটি বর্ণভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেম। Computer উদ্ভবনের সময়ে যে অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করা হতো সেই অপারেটিং সিস্টেমের নাম DOS বা ডিস্ক অপারেটিং সিস্টেম।

dos

DOS হচ্ছে একটি single ইউজার operating system যেটা আগের শতাব্দীর অর্থাৎ, নব্বই দশকের শুরুতে বিকশিত পার্সোনাল computer এর জন্য তৈরি করা হয়েছিলো। ডস সর্বপ্রথম ব্যবহার করে IBM কম্পিউটার। এটি IMB কম্পিউটার কর্তৃক ব্যবহৃত প্রথম অপারেটিং সিস্টেম।

উইন্ডোজ (WINDOWS) কাকে বলে?


WINDOWS এর পূর্ণরূপ হলো Wide Interactive Network Development For Office Work Solution. উইন্ডোজ (WINDOWS) হলো Microsoft corporation নামের একটি বিখ্যাত IT company দ্বারা তৈরি করা একটি “Graphical Interface Operating System“. এই operating system টিকে ব্যবহার করা হয় বিভিন্ন device গুলোকে পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষেত্রে।

Windows

এছাড়া, উইন্ডোজ হলো চিত্রভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেম। এ ধরনের অপারেটিং সিস্টেম ইন্টারেক্টিভ এবং অধিক ইউজার ফ্রেন্ডলি। এই অপারেটিং সিস্টেমের মাধ্যমেই চিত্রের (icon) ওপর ক্লিক করে কাজ করা হয়।

ডস ও উইন্ডোজ এর বৈশিষ্ট্য কি কি?


ডস (DOS) এর বৈশিষ্ট্য সমূহ: উইন্ডোজ (WINDOWS) এর বৈশিষ্ট্য সমূহ:
১. DOS একটি বর্ণভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেম। ১. WINDOWS একটি চিত্রভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেম।
২. DOS কীবোর্ড দিয়ে কমান্ড লিখে লিখে কাজ করতে হয়। ২. WINDOWS আইকন ও মেনু চালিত।
৩. DOS এ বিভিন্ন কমান্ড মুখস্ত করতে হয়। ৩. WINDOWS এ কমান্ড মুখস্ত করার প্রয়োজন নেই।
৪. DOS একক ইউজার ও একক প্রসেসর সমর্থন করে। ৪. WINDOWS ইন্টারেক্টিভ এবং অধিক ইউজার ফ্রেন্ডলি।
৫. DOS সিরিয়াল প্রসেসিং অপারেটিং সিস্টেম অর্থাৎ, একসাথে একাধিক প্রোগ্রাম চালানো যায় না। ৫. WINDOWS এ নিরাপত্তা ব্যবস্থা খুবই উন্নত।
৬. DOS এ গ্রাফিক্স, মাল্টিমিডিয়া, ওয়েভ ডিজাইন ইত্যাদি নিয়ে কাজ করার সুবিধা কম। ৬. WINDOWS এ লিনাক্সের ডকুমেন্টেশন বেশ সমৃদ্ধ।