এক কথায় প্রকাশ / বাক্য সংকোচন।
একাধিক পদ বা উপবাক্যকে একটি শব্দে প্রকাশ করা হলে, তাকে বাক্য সংকোচন, বাক্য সংক্ষেপণ বা এক কথায় প্রকাশ বলে। বাক্য সংকোচন আসলে কোনো বাক্য বা বাক্যাংশকে একশব্দে প্রকাশ করা।
বাক্য সংকোচনের মাধ্যমে বাক্যের অর্থ অপরিবর্তিত রেখে বাক্যকে সংক্ষিপ্ত করা হয়। নিচে অ অক্ষর দিয়ে কয়েকটি এক কথায় প্রকাশ / বাক্য সংকোচন দেওয়া হলো –
১। যা বলার যোগ্য নয় = অকথ্য
২। কখনও যা চিন্তা করা যায় না = অচিন্ত/অচিন্তনীয়
৩। যা চিন্তা করা যায় না = অচিন্তনীয়, অচিন্ত্য
৪। জন্ম নেই যার = অজ
৫। যে কর্মের অযোগ্য = অকর্মণ্য
৬। কল্পনা করা যায় না এমন = অকল্পনীয়
৭। অকালে যে পেকে গেছে = অকালপক্ব
৮। যার কোন কিছু চাওয়ার নেই = অকিঞ্চন
৯। যার কোন কিছুতে ভয় নেয় = অকুতোভয়
১০। উপকারীর উপকার স্বীকার করে না যে = অকৃতজ্ঞ
১১। দার পরিগ্রহ করেন নি যিনি = অকৃতদার
১২। অন্য গতি নেই যার = অগত্যা
১৩। যে যাত্রায় কেউ গমন করলে আর ফেরে না = অঅগস্ত্যযাত্রা
১৪। গোচরে নয় যা = অগোচরে
১৫। অগ্রে যে গমন করে = অগ্রগামী
১৬। অগ্রে জন্মগ্রহণ করেছে যে = অগ্রজ
১৭। হস্তী তাড়নের নিমিত্ত ব্যবহৃত লৌহদণ্ড = অঙ্কুশ
১৮। এখনও যার শত্রু জন্ময় নি = অজাতশত্রু
১৯। যার দাড়ি জন্মায়নি = অজাতশ্মশ্রু
২০। কাম ক্রোধ লোভাদির বশীভূত = অজিতেন্দ্রীয়
২১। হরিণের চামড়া = অজিন
২২। জানা নেই যা = অজ্ঞাত
২৩। যা কখনো নষ্ট হয় না = অবিনশ্বর
২৪। বিচার নেই এমন = অবিচার্য
২৫। বাক্য ও মনের অগোচর = অবাঙ্মানসগোচর
২৬। অবশ্য হবে/ঘটবে যা = অবশ্যম্ভাবী/ভবিতব্য
২৭। কথা যে বলতে পারে না = অবলা
২৮। বর্ণনা করা যায় না যা = অবর্ণীয়
২৯। যা বাক্যে প্রকাশ করা যায় না = অবর্ণনীয়
৩০। ঊর্ধ্ব থেকে নেমে আসা = অবতরণ
৩১। আবক্ষ জলে নেমে স্নান = অবগাহন
৩২। যা ফুরায় না = অফুরান
৩৩। ফুরায় না যা = অফুরন্ত
৩৪। যা পানের অযোগ্য = অপেয়
৩৫। যে নারীর পুত্রসন্তান হয়নি = অপুত্রক
৩৬। পরিহার করা যায় না এমন = অপরিহার্য
৩৭। যে ভবিষ্যতের চিন্তা করে না = অপরিণামদর্শী
৩৮। দিবসের শেষ ভাগ = অপরাহ্ন
৩৯। অপকার করার ইচ্ছা = অপচিকীর্ষা
৪০। অন্য দিকে মন যার = অন্যমনা
৪১। বাগদত্তা হয়ে যে নারীর বিয়ে অন্য পুরুষের সঙ্গে হয় = অন্যপূর্বা
৪২। দুয়ের মধ্যে একটি = অন্যতর
৪৩। অনেকের মধ্যে একজন = অন্যতম
৪৪। অন্বেষণ করার ইচ্ছা = অন্বেষা
৪৫। অন্ন ভক্ষণ করে যে প্রাণ ধারণ করে = অন্নগতপ্রাণ
৪৬। যার অন্ত নেই = অন্তহীন
৪৭। অন্তরের ভাব জানেন যিনি = অন্তর্যামী
৪৮। ভিতর থেকে গোপনে ক্ষতিসাধন = অন্তর্ঘাত
৪৯। অন্তর্গত অপ যার = অন্তরীপ
৫০। গৃহের অভ্যন্তরে গৃহ = অন্তগৃহ
৫১। সার নেই যার মধ্যে = অন্তঃসারশূন্য
৫২। ঐক্যের অভাব আছে যার = অনৈক্য
৫৩। অন্য ভাষায় রূপান্তরিত = অনূদিত
৫৪। যে মেয়ের বিয়ে হয়নি = অনূঢ়া
৫৫। অনুসন্ধান করতে ইচ্ছুক যে = অনুসন্ধিৎসু
৫৬। অনুসন্ধান করার ইচ্ছা = অনুসন্ধিৎসা
৫৭। যে ভূমি উর্বর নয় = অনুর্বর
৫৮। উদিত হয়নি যা = অনুদিত
৫৯। অনুতে/পশ্চাতে জন্মেছে যে = অনুজ
৬০। উচিত নয় যা = অনুচিত
৬১। কেউ যা জানে না = অজ্ঞাত/অজানা
৬২। অণুকে দেখা যায় যার দ্বারা = অণুবীক্ষণ
৬৩। আগমনের কোনো তিথি নেই যার = অতিথি
৬৪। যার তুলনা হয় না = অতুলনীয়
৬৫। যে অত্যাচার করে = অত্যাচারী
৬৬। দমন করা যায় না যাকে = অদম্য
৬৭। অন্ত নেই যার = অনন্ত
৬৮। আদি নেই যার = অনাদি
৬৯। আকাশ মাধ্যমে আগতবাণী = আকাশবাণী
৭০। আকাশ স্পর্শ করে যা = আকাশস্পর্শী
৭১। কোনো উপকারে আসে না যে গাছ = আগাছা
৭২। আঠা যুক্ত আছে যাতে = আঠালো
৭৩। অতর্কিত অবস্থায় আক্রমণকারী = আততায়ী
৭৪। অতিথির আপ্যায়ন = আতিথ্য
৭৫। আপনাকে যে হত্যা করে = আত্মঘাতী
৭৬। পা থেকে মাথা পর্যন্ত = আপাদমস্তক
৭৭। মরণ পর্যন্ত = আমরণ
৭৮। আরাধনার যোগ্য = আরাধ্য
৭৯। আরোহন করে যে = আরোহী
৮০। আলাপ করতে তৎপর = আলাপী
৮১। আলোচনার বিষয়বস্তু = আলোচ্য
৮২। আলো ছড়ায় যে পাখি = আলোর পাখি
৮৩। ঘোড়া রাখার স্থান = আস্তাবল
৮৪। অতীত কাহিনী = ইতিহাস
৮৫। ইতি মধ্যকার ঘটনা = ইদানীং
৮৬। পাওয়ার ইচ্ছা = ঈপ্সা
৮৭। যা উড়ে যাচ্ছে = উড্ডীয়মান
৮৮। নতুন কিছু তৈরি করা = উদ্ভাবন
৮৯। মাটি ভেদ করে ওঠে যা = উদ্ভিদ
৯০। উপকার করেন যিনি = উপকারক
৯১। বড় গ্রহকে ঘিরে যে ছোট গ্রহ ঘোরে = উপগ্রহ
৯২। দ্বীপের সদৃশ = উপদ্বীপ
৯৩। মন্ত্রীর সদৃশ = উপমন্ত্রী
৯৪। জলেও চরে স্থলেও চলে = উভচর
৯৫। ঊর্ধ্ব দিকে গতি যার = ঊর্ধ্বগতি
৯৬। ঊর্ধ্বদিকে গমন করে যে = ঊর্ধ্বগামী
৯৭। ঊর্ধ্ব দিকে বিচরণ করে যে = ঊর্ধ্বচারী
৯৮। এক তারযুক্ত বাদ্যযন্ত্র = একতারা
৯৯। ইচ্ছার অনুরূপ বা অধীন = ঐচ্ছিক
১০০। ইতিহাস রচনা করেন যিনি = ঐতিহাসিক
১০১। যার বংশ পরিচয় কেউই জানে না = অজ্ঞাতকুলশীল
১০২। যার নাম কেউ জানে না = অজ্ঞাতনামা
১০৩। কেউ জানতে না পারে এই রূপ ভাবে = অজ্ঞাতসারে
১০৪। জানা যায় না যা = অজ্ঞেয়
১০৫। উচ্চ হাস্যকারী = অট্টহাসক
১০৬। অতি উচ্চ বিকট হাসি = অট্টহাসি
১০৭। ইষ্টক নির্মিত গৃহ = অট্টালিকা
১০৮। অণ্বেষণ করার ইচ্ছা = অণ্বেষা