সাইবার ক্রাইম (cyber crime) কাকে বলে? কয়েকটি সাইবার ক্রাইমের (cyber crime) নাম।
সাইবার ক্রাইম (cyber crime) কাকে বলে?
একটি কম্পিউটার বা ইন্টারনেট ব্যবহার করে যদি কারো ব্যক্তিগত তথ্যের অবৈধ ব্যবহার, copyright infringement, ঠকানো, personal data চুরি, hacking, phishing, spamming বা privacy theft ইত্যাদি এগুলির মতো অপরাধ করা হয়, তাকে সাইবার ক্রাইম (cyber crime) বলে।
ইন্টারনেটের মাধ্যমে সংঘটিত সকল ধরনের অপরাধই সাইবার ক্রাইমের অন্তর্ভুক্ত। মূলত, সাইবার ক্রাইম হচ্ছে এমন একটি অপরাধ, যাতে প্রধানত কম্পিউটার বা অন্য কোন ইলেক্ট্রনিক যন্ত্র ব্যবহৃত হয় এবং অপরাধীরা ইন্টারনেট ব্যবহার করে বিশ্বব্যাপী অপরাধগুলো করে থাকে।
কয়েকটি সাইবার ক্রাইমের (cyber crime) নাম সমূহ:
পরিচয় চুরি:
আজকাল অনেকেই আমরা অনলাইনে কেনাকাটা করে থাকি। এরজন্য নাম, ঠিকানা, ই-মেইল, ক্রেডিট কার্ডের তথ্য ইত্যাদি দিতে হয়। যেসব ওয়েবসাইটের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভালো নয়, সেখানে এই তথ্যগুলো দিলে তা অপরাধীর কাছে চলে যাবার সম্ভাবনা থাকে। সেক্ষেত্রে অপরাধী আপনার তথ্য ব্যবহার করে আপনার ক্রেডিট কার্ড শূন্য করে দিতে পারে।
স্প্যাম ও ফিশিং:
হটাৎ করে একদিন ই-মেইল খুলে দেখলেন আপনি অনেক টাকার লটারি জিতেছেন। সেটা পেতে আপনাকে কিছু তথ্য দিতে বলা হচ্ছে। হঠাৎ করে বড়লোক হওয়ার লোভে আপনি সেই তথ্যগুলো দিয়ে দিলেন।
ব্যস, যা হবার হয়ে গেছে, পরে দেখলেন টাকা পাওয়ার বদলে আপনার কাছে যা আছে সেটাও চলে যাচ্ছে! অর্থাৎ, আপনি স্প্যাম ও ফিশিং-এর শিকার হয়েছেন।
ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড স্কিমিং:
রেস্টুরেন্ট, সুপারমার্কেটের বিল পরিশোধ, এটিএম থেকে টাকা তোলা, অর্থাৎ, এমন কোথাও যেখানে আপনার ক্রেডিট ও ডেবিট কার্ডকে যন্ত্রের মধ্যে ঢোকাতে হয় সেখান থেকেও তথ্য চুরি হতে পারে। স্কিমার যন্ত্রের মাধ্যমে তথ্য চুরি করা হয় বলে একে ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড স্কিমিং বলে।
ব়্যানসমওয়্যার:
র্যানসমওয়্যার হলো এক ধরনের ম্যালওয়্যার যেটি কিনা একটি কম্পিউটার ডিভাইসকে আক্রান্ত করার পর ব্যবহারকারীকে তার মেশিনে প্রবেশ করা থেকে বিরত রাখে। ব্যবহারকারীর প্রবেশগম্যতা সীমাবদ্ধ করে দেয় এবং এই সীমাবদ্ধতা দূর করার জন্য ব্যবহারকারীর কাছ থেকে মুক্তিপণ দাবি করে।
ম্যালভার্টাইজিং:
ম্যালভার্টাইজিং এর পূর্ণরূপ হলো ম্যালওয়ার অ্যাডভারর্টাইজিং। এই ম্যালভার্টাইজিং এর সাহায্যে বিভিন্ন ওয়েবসাইটের মধ্য দিয়ে র্যানসমওয়্যার ছড়িয়ে পড়ে। এর একটি ভয়ংকর দিক হলো বিজ্ঞাপনে ক্লিক করা।
ধরুন আপনি কোনো ওয়েবসাইটে আছেন। সেখানে একটি বিজ্ঞাপন দেখে ক্লিক করলেন। ব্যস আপনার কম্পিউটারে একটি কোড ডাউনলোড হয়ে গেল। এটি কোনো নিরীহ কোড নয়। অপরাধীরা এর মাধ্যমে আপনাকে হয়রানির পরিকল্পনা করবে।
সাইবার মবিং বা সাইবার বুলিং:
ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে হয়রানি করার নামই সাইবার মবিং বা সাইবার বুলিং। এটি সামাজিক মিডিয়া, মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম, গেমিং প্ল্যাটফর্ম এবং মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ঘটে থাকে।
এক্ষেত্রে যাদেরকে টার্গেট করা হয় তাদেরকে ভয় দেখানো, রাগিয়ে দেওয়া, লজ্জা দেওয়া বা বিব্রত করার জন্য বার বার এরূপ আচরণ করা হয়।