“ভ্যালেন্টাইনস ডে” – একটি ভালোবাসার উৎসব সারা বিশ্বের মানুষের জন্য।
ভালোবাসা ঐশ্বরিক, ভালোবাসা স্বর্গীয়। ভালোবাসা ছাড়া মানুষ বাঁচতে পারে না। সৃষ্টির সেরা জীব মানুষ ছাড়াও অন্যান্য জীবের মধ্যেও এই সহজাত প্রবৃত্তি লক্ষ্য করা যায়। আর তাই ভালোবাসার মূল্য দিতে গিয়ে মানুষ নিজের জীবন পর্যন্ত বিসর্জন দিতে পিছপা হয় না।
সেইন্ট ভ্যালেন্টাইনও ভালোবাসার জন্যে নিজের জীবন উৎসর্গ করে গিয়েছেন। প্রতিবছর ফেব্রুয়ারী মাসের ১৪- তারিখ কার্ড, ক্যান্ডি, গিফট ও ফুল প্রিয়জনকে উপহার হিসাবে আদানপ্রদানের মাধ্যমে বহু মানুষ বিশেষ এই দিনটিতে তাকে স্মরণ করেন।
সমগ্র বিশ্বে প্রতিবছর ফেব্রুয়ারী মাসের ১৪-তারিখ ভ্যালেনটাইন্স ডে পালন করা হয়। মূলত ভালোবাসার এই উৎসবটি পশ্চিমা বিশ্বের ঐতিহ্য। বর্তমানে খুব ধুমধামের সাথে পূর্ব বিশ্বের দেশগুলোতে ভালোবাসা দিবস পালন করা হয় বিশেষ করে ইন্ডিয়া এবং চীনে। সাধু ভ্যালেনটাইন-এর নামানুসারে এই দিনটির নাম ভ্যালেনটাইন্স ডে রাখা হয়েছে।
ইতিহাসে ভ্যালেনটাইন্স নামে কয়েক জনের নাম পাওয়া যায় যারা নানা কারণে শহীদ হয়েছেন। তবে সেইন্ট ভ্যালেন্টাইন্স নামে একজন ছিলেন যিনি জীবন দিয়েছিলেন ভালোবাসার জন্য। সম্রাট ক্লাউডিয়াস অল্প বয়সী কিশোরে কিশোরী বা যুবক যুবতীদের বিবাহের ব্যাপারে নিরুৎসাহিত ছিলেন।
তিনি মনে করতেন কিশোর-কিশোরীরা প্রেমের বন্ধনে জড়ালে এবং বিবাহ করলে তারা ভালো সৈনিক হতে পারবে না। ভালো সৈনিক হতে গেলে একটু বয়স করে বিয়ে করতে হবে। এজন্য সম্রাটের কঠোর আদেশ বলবৎ ছিল।
কিন্তু সেইন্ট ভ্যালেন্টাইন্স সম্রাটের নির্দেশ উপেক্ষা করে প্রেমীদের প্রেম করতে সহায়তা করেছিলেন এবং কয়েকজোড়া প্রেমিক-প্রেমিকাদের বিবাহ দিয়েছিলেন। এ কারণে সম্রাট কর্তৃক সেন্ট ভ্যালেন্টাইন্সকে হত্যা করা হয় এবং এরপর থেকে ভ্যালেন্টাইন্স ডে পালনের ঐতিহ্য শুরু হয়।
প্রত্যেক প্রেমিক-প্রেমিকা ( প্রেম যুগলদ্বয় ) -এর জন্য এটা একটা বিশেষ দিন। অগণিত কিশোর-কিশোরী অন্যরকম একটা আনন্দ ও উন্মাদনা নিয়ে এই দিনটির জন্য অপেক্ষা করতে থাকে।
এই দিনটির জন্য অধীর আগ্রহে বসে থাকে কারণ সারাবছর জুড়ে মধুর একটা পরিকল্পনা করা হয়েছে যে, কিভাবে একে অপরকে ভালোবাসার কথা জানাবে। প্রেমে-মও দুটি পাখি কতনা কবিতা, গান রচনা করে রেখেছে একে অপরকে শোনাবে বলে।
দিনটিকে স্বরণীয় করে রাখার মানসে বয়ফ্রেইন্ড গার্লফ্রেইন্ড-এর জন্য এবং গার্লফ্রেইন্ড বয়ফ্রেইন্ড-এর জন্য কতনা অভিসন্ধি বা কার্যসূচি সাজিয়ে রেখেছে তা বলার নয়।
বিশ্ব ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে তরুণ-তরুণীদের মধ্যে মুঠোফোনের মাধ্যমে কবিতা বা ভালোবাসার বিখ্যাত উক্তি SMS এর মাধ্যমে আদান প্রদানের উৎসাহ খুব আকারে দেখা যায়। স্পেশাল কিছু SMS শেয়ার করা হলো:
খুজিনি গানের সুরে
জানি তুমি আছো শুধু আমার এই হৃদয় জুড়ে
হাজারো প্রশ্নের একটাই answer
আর কারো নও তুমি শুধুই আমার।
হৃদয়নীড়ে দিচ্ছে দোলা ভালোবেসে কেউ
আড়াল থেকে ডাকে আমায় কাছে আসে না
স্বপ্নের মাঝে খুঁজি টরে ধরা দেয় না।
মনের কষ্ট মুছে যায় দেখলে তোমার হাসি
তোমার মনের মধ্যে খানে রেখে দিও আমায়
জীবনে মরণে থাকবো পাশে ভুলবোনা তোমায়।
ভালো লাগে তোর সাথে অনেকটা পথ হাঁটতে
ভালো লাগে তোর সাথে স্বপ্নের জাল বুনতে
আর এই মন চাই
সারাজীবন তোরে উজাড় করে ভালোবাসতে
আমার এই মন চাই মনের কথা বলতে
কি …….বলব I love you ……………Do you love me?
যেখানে শুধু তোমার বসবাস
এই হৃদয়ে তিমি আমার একটি নীল আকাশ
তাই সেই হৃদয়ের মাঝখানে চিরদিন তুমি থেকো
শুধু আমার জন্য তোমার হৃদয়ে একটু জায়গা রেখো।
আশা অপমান সব ভুলতে পারে
কিন্তু একটা জিনিস কখনো ভুলতে পারে না
আর সেটা হলো real লাভ।
সুখে দুঃখে রব পাশে তোমায় করে আপন
আমি তোমায় ভালোবেসে যাবো সারাজীবন।