পরমাণুর মূল কণিকা কাকে বলে? পরমাণুর মূল কণিকা কত প্রকার ও কি কি?
পরমাণুর মূল কণিকা কাকে বলে?
পদার্থের ক্ষদ্রতম উপাদান পরমাণু সমূহ আরও সূক্ষ্ম এবং অবিভাজ্য যেসব মূল উপাদান কণার সমন্বয়ে গঠিত তাদেরকে সামগ্রিকভাবে পরমাণুর মূল কণিকা বলে।
অন্যভাবে বললে বলা যায়, যে সকল অতিশয় ক্ষুদ্র কণিকা দ্বারা পরমাণু গঠিত তাদেরকে পরমাণুর মূল কণিকা বা মৌলিক কণিকা বলে।
পরমাণুর মূল কণিকা কত প্রকার ও কি কি?
পরমাণুর মূল কণিকা প্রধানত তিন প্রকারের হয়ে থাকে। যথা:
১. স্থায়ী মূল কণিকা
২. অস্থায়ী মূল কণিকা
৩. অ্যামাইটোসিস
স্থায়ী মূল কণিকা:
যেসব মূল কণিকা স্থায়ীভাবে সকল মৌলের পরমাণুতেই উপস্থিত থাকে তাদেরকে স্থায়ী মূল কণিকা বলে। স্থায়ী মূল কণিকা প্রধানত তিন প্রকারের হয়ে থাকে। যথা: ইলেকট্রন, নিউট্রন এবং প্রোটন।
অস্থায়ী মূল কণিকা:
স্থায়ী মূল কণিকা ছাড়াও কোনো কোনো মৌলের পরমাণুতে আরও যেসব অল্প ভর বিশিষ্ট মূল কণিকা অত্যন্ত অল্প সময়ের জন্য অস্থায়ীভাবে থাকে তাদেরকে অস্থায়ী মূল কণিকা বলা হয়।
অর্থাৎ, যেসব কণিকা কোন মৌলের পরমাণুতে অল্প সময়ের জন্য অবস্থান করে তাদেরকে অস্থায়ী মূল কণিকা বলে। যেমন: মেসন, পজিট্রন, পাইওন, নিউট্রিনো, অ্যান্টিনিউট্রিনো, গ্যাভিট্রন ইত্যাদি।
কম্পোজিট কণিকা:
স্থায়ী এবং অস্থায়ী মূল কণিকা ছাড়াও কোনো কোনো মৌলের পরমাণুতে আরও এক প্রকার অপেক্ষাকৃত ভারী কণিকা পাওয়া যায়। এসব ভারী কণিকাকে কম্পোজিট কণিকা বলা হয়। যেমন: আলফা কণা, ডিউটেরন কণা ইত্যাদি।