সোনার ডিম পাড়া হাঁসের গল্প।
কোনো এক গ্রামে বাস করতো এক গরীব কৃষক। তার তিনটি ছেলে-মেয়ে ছিল। তিন ছেলে-মেয়ে ও বউকে নিয়ে তার খুব কষ্টে দিন কাটছিল।
একদিন কৃষক বাড়ির উঠানে বসে ভাবছিল সে একটি মায়া হাঁস কিনবে। সেই হাঁসের ডিম বাজারে বিক্রি করে টাকা রোজগার করবে।
পরদিন সে বাজার থেকে একটি ছোট হাঁসের বাচ্চা কেনে আর সেই বাচ্চাটিকে বাড়িতে এনে খুব আদর যত্ন করে। এভাবে দেখতে দেখতে হাঁসটি বড় হয়ে যায়।
হঠাৎ একদিন কৃষক দেখে হাঁসটি একটি ডিম পড়েছে। ডিম দেখে কৃষক তার বউকে ডেকে আনে।
তারা দুজন এসে ডিমটি হাতে নেয় আর দেখে এটি একটি সোনার ডিম।
এই দেখে তারা দুজন আনন্দে নাচতে শুরু করে। আর বলে এবার তারা বড়লোক হয়ে যাবে।
এভাবে হাঁসটি প্রতিদিন একটি একটি করে সোনার ডিম পারতে থাকে। আর সেই ডিম গুলো বাজারে বিক্রি করে কৃষক তাদের আর্থিক চাহিদা মেটাতে থাকে।
কিন্তু এক সময় কৃষক ও তার বউয়ের লোভ অনেক বেড়ে যায়।
তারা ভাবে এভাবে একটি একটি ডিম বিক্রি না করে হাঁসটির পেট থেকে একবারে সব গুলো ডিম বের করে বিক্রি করলে তারা অনেক টাকার মালিক হয়ে যাবে।
এইভেবে পর দিন সকালে কৃষক ও তার বউ মিলে হাঁসটির পেট কেটে ফেলে। আর দেখে পেটের ভেতর একটাও ডিম নেই।
এই দেখে কৃষক মাথায় হাত দিয়ে মাটিতে বসে পড়ে আর চিৎকার করে কাঁদতে লাগে।
উপদেশ:অতিলোভে তাঁতি নষ্ট।