পুরুষদের বিব্রতকর কিছু শারীরিক সমস্যা।
পুরুষদের কিছু কিছু শারীরিক সমস্যা আছে যা অনেক সময় বেশ বিব্রতকর। অথচ স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন, স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস এর মাধ্যমে আমরা সহজেই এইসব শারীরিক সমস্যা গুলো দূর করতে পারি। চলুন জেনে নিই পুরুষদের কিছু বিব্রতকর শারীরিক সমস্যা সম্পর্কে:
বেঢক ভুঁড়ি
পুরুষদের মধ্যে কোমরের কাছে চর্বি জমা এবং ভুড়ি হওয়ায় প্রবণতা খুব বেশি। দুঃখজনক হলেও সত্য যে যেসব পুরুষের ভুড়ির কারণে কোমরের মাপ 40 ইঞ্চির বেশি তাদের হৃদরোগের ঝুঁকি অনেক বেশি। নিয়ন্ত্রিত খাবার খেয়ে ও স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের মাধ্যমে হৃদরোগের ঝুঁকি কমানো সম্ভব।
অতিরিক্ত ঘাম
অতিরিক্ত ঘাম হওয়া। একটা ফ্যাক্ট হল নারীদের থেকে পুরুষের ঘাম অনেক বেশি হয়। চিকিৎসা বিজ্ঞানে এটাকে বলা হয় হাইপারহাইড্রোসিস। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী উপযুক্ত চিকিৎসা নিলে যেটা নিরাময় করা সম্ভব।
বয়সের সাথে চুল পড়া
একটি চরম সত্য হলো অধিকাংশ পুরুষের বয়স 35 এর মধ্যে মাথার চুল পড়া অনেক দৃশ্যমান হয় এবং বয়স 50 মধ্যে অধিকাংশ চুল পড়ে যায়। অনেক ক্ষেত্রে মাথার চুল পড়ে টাক দেখা যায়। যা অনেক পুরুষের জন্য বেশ বিব্রতকর।
ঘুমের সময় নাক ডাকা
ঘুমের মধ্যে নাক ডাকা নিঃসন্দেহে বিব্রতকর এবং বিরক্তিকর পাশের মানুষের জন্য। ঘুমের মধ্যে নাক ডাকার প্রবণতা পুরুষদের মধ্যে বেশি লক্ষণীয়। নাক ডাকা ক্ষতিকর কিছু নয় তারপরেও এ সমস্যা দূর করার জন্য ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া যেতে পারে।
শরীরের দুর্গন্ধ
কঠিন পরিশ্রম ও শারীরিক কসরত করলে শরীরে ঘাম হয়। এই ঘামের সাথে ব্যাকটেরিয়া যুক্ত হলে শরীর থেকে দুর্গন্ধ বের হয। শরীরের দুর্গন্ধ দূর করার জন্য প্রতিদিন সাবান দিয়ে গোসল করতে হবে। দুর্গন্ধযুক্ত কাপড় চোপড় নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে।
মুখের দুর্গন্ধ
পুরুষদের ধূমপান মুখের দুর্গন্ধের অন্যতম কারণ। এছাড়াও জিহ্বা এবং দাঁত ঠিকমতো পরিষ্কার না করার কারণে সেখানে ব্যাকটেরিয়া জমে মুখে দুর্গন্ধ হয়। ধূমপান পরিহার করে এবং মুখের ঠিক মত যত্ন নিয়ে এ সমস্যার সমাধান করা যেতে পারে।
যৌন অক্ষমতা
পুরুষরা সাধারণত তাদের যৌন সমস্যা আলোচনা করে না। কিন্তু এক তৃতীয়াংশ পুরুষের যৌন সমস্যা থাকে। ধূমপান, ডায়াবেটিস, হূদরোগ, ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া বিভিন্ন কারণে পুরুষের যৌন অনীহা দেখা দেয়। সংকোচ না করে যৌন সমস্যা সমাধানে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া যেতে পারে।
বিব্রতকর পিঠের চুল
কিছু পুরুষের পিঠের চুল বেশ লম্বা হয়। সাধারণত 20 বছর বয়সের কাছাকাছি গেলে পিঠের চুলের ঘনত্ব ভালোভাবে বোঝা যায়। যেহেতু পুরুষের পিঠের চুল সবার হয় না তাই অনেকের কাছে এটি বিব্রতকর হতে পারে। এটি ক্ষতিকর কিছু না আবার চাইলে স্থায়ীভাবে পরিষ্কার করা সম্ভব।