পাখির ডিমের গল্প।
অনেক কাল আগের কথা। অচীনপুর নামে একটি ছোট্ট গ্রাম ছিল। সেই গ্রামে একটি বড় বট গাছ ছিল। আর সেই গাছে বাস করতো এক বাবুই পাখি। এক এক করে সে অনেক গুলো ডিম পাড়লো। কিছুদিনের মধ্যে তার ডিম থেকে বাচ্চা বের হলো। মা পাখিটি বাচ্চাদের দেখে খুবই খুশি হলো।
সে প্রতিদিন তার ছানাদের জন্য মুখে করে অনেক খাবার নিয়ে আসতো। আর সেই খাবার আদর করে ছানাদের খাইয়ে দিতো। দেখতে দেখতে তার ছানারাও বড় হয়ে গেল। কিন্তু এত খুশির মধ্যেও একটা সমস্যা ছিল। বাবুই পাখিটির বাসায় চারটি ডিম ছিল। তার তিনটি ডিম ফুটলেও একটি ডিম কিন্তু ফুটলো না।
এই নিয়ে মা পাখিটি খুবই চিন্তায় ছিল। তখন সে কোকিল এর কাছে গেল। কোকিল পাখিকে পুরো ঘটনাটি খুলে বললো। সব শুনে কোকিল বললো চলো আমরা কাক পন্ডিত এর কাছে যাই। সেইই একমাত্র এই সমস্যার সমাধান দিতে পারবে।
এই বলে তারা দুজন কাক পন্ডিতের কাছে গেল এবং তাকে সব বললো। তখন কাকটি বলল চলো আমরা আগে ডিমটি ভালো করে দেখি। এই বলে তারা সবাই বাবুই পাখির বাসার কাছে এলো।
আর সেখানে এসে দেখলো এটি একটি নকল ডিম। যা সে গ্রামের বাচ্চাদের কাছে দেখেছে। কিন্তু সব শুনে মা পাখিটি কিছুতেই বিশ্বাস করতে পারলো না আর বললো এটি তারই ডিম।
তখন কাক বললো বাবুই বোন তুমি এই ডিমটিকে বাসা থেকে নিচে ফেলে দাও। তখন বাবুই বললো আমার ডিমটি ফেটে যাবে। কাক বললো ফাটবে না তুমি ফেলো। এই বলে কাক নিজেই ডিমটি নিচে ফেলে দিল। আর ডিমটি মাটিতে পড়া মাত্রই বাবুই দেখলো ডিমটি একটি সাধারণ খেলনা বল।
এই দেখে বাবুই পাখিটি খুবই খুশি হলো। আর তার তিনটি ছানাকে নিয়ে সুখে শান্তিতে জীবনযাপন করতে লাগলো।