গায়ে আগুন লাগলে দ্রুত যা করা জরুরি।
একটু সতর্ক থাকলে অগ্নি দুর্ঘটনা এড়ানো যায়। মনে রাখতে হবে, পুড়ে যাওয়ার পর তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়াটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। শরীরে আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গেই দ্রুত কিছু ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। গায়ে আগুন লাগলে আমরা সাধারণত ভয়ে পেয়ে যাই। তবে ভয় না পেয়ে যদি কয়েকটি কাজ সঠিক ভাবে করতে পারি, তবে রোগীকে মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচানো সম্ভব।
আসুন গায়ে আগুন লাগলে দ্রুত যা যা করা জরুরি তা জেনে নিই:
পোশাক ও গহনা খুলুন:
গায়ে আগুন লাগলে দৌড়াদৌড়ি না করে গায়ের কাপড় খুলে ফেলতে হবে এবং মাটিতে গড়াগড়ি দিতে হবে। আগুন লাগলে দ্রুত পরনের পোশাক ও গহনা খুলে ফেলুন। শিশুদের ক্ষেত্রে ডায়াপার থাকলেও খুলে ফেলুন।
শরীরে পানি ঢালুন:
আগুনে পোড়ার প্রথম আধাঘণ্টার মধ্যে শরীরে যত বেশি সম্ভব পানি ঢালুন। পানি ঢেলেই পোড়ার পরিমাণ কমানো যেতে পারে। ঠান্ডা পানি দিয়ে দগ্ধস্থান অন্তত ২০ মিনিট ধরে ধুতে হবে। তবে মনে রাখবেন বরফ, কোনো ধরনের ক্রিম, তৈলাক্ত পদার্থ দগ্ধস্থানে দেওয়া যাবে না।
দ্রুত হাসপাতালে নিন:
আগুনে পোড়ার প্রথম ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হাসপাতালে নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। এতে রোগীর মৃত্যুঝুঁকি থাকলে অনেকটাই কমানো সম্ভব। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে স্যালাইন দেওয়ার কারণে যে উপকার হয়, পরে সেটি হয় না। কারণ সময় চলে গেলে ৩-৪ লিটারের বেশি স্যালাইন দেওয়া যায় না।
যেসব জিনিস লাগানো যাবে না:
কোনোভাবেই ডিম, টুথপেস্ট, বরফ, কোনো ধরনের তেল লাগানো যাবে না। যদি এগুলো পোড়া জায়গায় লাগানো হয় তবে রোগীকে হাসপাতালে নেয়ার পর এই জিনিসগুলোকে পরিষ্কার করা হয়। আর তখন এগুলো জমাট বেঁধে থাকে বলে চামড়া উঠে আসার শঙ্কা থাকে। তাই পুড়ে গেলে পানিই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রাথমিক চিকিৎসা।
তরল খাবার খাওয়াতে হবে:
আগুনে পোড়া রোগীকে বেশি করে তরল খাবার খাওয়াতে হবে। স্যালাইন ডাবের পানি বা তরল জাতীয় খাবার বেশি বেশি খাওয়ান। এ ছাড়া ক্যালরি ও প্রোটিন জাতীয় খাবার, যেমন- ডিম বা মুরগির মাংস খাওয়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।