খামার বাড়ির পশুপাখির গল্প।

খামার বাড়ির পশুপাখি

—————————

গ্রামের নাম সোনাইমুড়ি। গ্রামে নানা পেশার মানুষের বাস। গ্রামের পাশেই তিতাস নদী। সেই নদীর পাড়ে গনি মিয়ার খামার। খামারে আছে অনেক গরু ও বাছুর। দিনের বেলা গরুগুলো মাঠে চরে। ঘাস খায়। বাছুরগুলো এদিক ওদিক ছোটাছুটি করে। মাঝে মাঝে গাভী হাম্বা হাম্বা ডাকে। ডাক শুনে বাছুর ছুটে যায় মায়ের কাছে। খামারের গরুগুলো খৈল আর ভুসি খায়।

গনি মিয়া শখ করে কবুতর পোষেন। কবুতরগুলো বাক বাকুম বাক করে ডাকে। গনি মিয়ার মেয়ে রিতা। রিতা দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ে। সে কবুতরগুলোকে খুব ভালোবাসে। গম ও মটর খেতে দেয়। কবুতরগুলো ইচ্ছে মতো উড়াউড়ি করে।

পাশেই পরান বাবুর ছাগলের খামার। খামারে আছে অনেক ছাগল ও ছাগলছানা। সেগুলোর কোনোটা সাদা, কোনোটা কালো, কোনোটা লালচে। ছাগলগুলো মাঠে চরে। ঘাস খায়। লতাপাতা খায়। ছাগল ডাকে ব্যা ব্যা। আশেপাশেই ছাগলছানাগুলো লাফালাফি করে।

একটু দূরেই মতিবিবির মুরগির খামার। সেখানে আছে অনেক মোরগ আর মুরগি। সকাল বেলা মোরগের ডাকে সবার ঘুম ভাঙ্গে। মোরগ ডাকে কুকুরু কু, কুকুরু কু। লালঝুঁটি মোরগ দেখতে খুব সুন্দর। মোরগ ও মুরগিগুলো এদিক ওদিক চরে বেড়ায়। দানা খায়। মুরগি ডিম পাড়ে। সেগুলো বেচে মতিবিবি অনেক টাকা আয় করেন।

মতিবিবি একটা কুকুর পোষেন। সে খামারের মোরগ মুরগি পাহারা দেয়। রাতের বেলা শিয়াল ডাকে হুক্কা হুয়া, হুক্কা হুয়া। মুরগি খাওয়ার লোভে চুপি চুপি খামারের কাছে আসে। টের পেয়ে কুকুরটা ডেকে ওঠে ঘেউ ঘেউ করে। তাড়া করে শিয়ালকে।

মুরগির খামারের পাশে রয়েছে একটা বড় পুকুর। সেখানেই শীতল বড়ুয়ার হাঁসের খামার। সে খামারে অনেক হাঁস আছে। সকাল বেলা হাঁসেরা প্যাঁক প্যাঁক করে ডাকে। দল বেঁধে পুকুরে নামে। শামুক খায়। দেখতে খুব ভালো লাগে।