হাতি আর শিয়ালের গল্প।

সে অনেক দিন আগের কথা। একটি বনে অনেক পশুপাখি বাস করতো। তারা সেখানে মিলেমিশে অনেক শান্তিতে থাকতো। হঠাৎ একদিন সেই বনে একটি হাতি আসলো। হাতির সে কি বিশাল শরীর,,,,,,!! পা দুটো বটপাকুড় গাছের মতো মোটা। শুরটি দেখে মনে হয় যেন আকাশে ঠেকবে,,,,। নতুন অতিথিকে স্বাগত জানাতে বনের সব পশুপাখি হাতির কাছে গেল।

হাতির নিজের শক্তি নিয়ে সে কি অহংকার,,,,,,!! দিল জোরে এক হুংকার। সেই হুংকারে সম্পূর্ণ বন কেপে উঠলো। পাখিরা ভয়ে পাখা ঝাপটাতে শুরু করলো। ইঁদুর আর গুবরেপোকারা মাটির নিচে লুকিয়ে পড়লো। অন্য প্রাণীরাও ভয়ে পালিয়ে গেল। এভাবেই দিন চলতে থাকলো।

এমনকি একদিন দুষ্টু হাতিটি একটি হরিণ ছানা কে শুলে উঠিয়ে ছুড়ে ফেলল। আর একদিন একটি পিপড়াকে পায়ের নিচে ফেলে পিষে ফেলল। এতে করে বনের রাজা সিংহও হাতিটিকে ভয় পেতে শুরু করলো। আর হালুম বাঘ মামাও হাতিটির কাছে ঘেষতো না। এক চরম অশান্তির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিল সকল প্রাণী।

এখন শিয়ালই তাদের একমাত্র ভরসা। এবারো শিয়াল তার বুদ্ধির জোর দেখালো। সে হাতির কাছে এসে সালাম করে বলল মহাশয়!! আপনি তো বনের সকলের চেয়ে শক্তিধর। আপনার শক্তির তুলনা হয়না।

আপনাকে তো রাজার আসনে বসানো উচিত। আপনি আমার সাথে চলুন। নদীর ওপারে আপনাকে সংবর্ধনা দেওয়ার জন্য সকলেই অপেক্ষা করছে। হাতি তো মহা খুশী। সে কিছু চিন্তা না করেই শিয়ালের সাথে চলে গেল। এরপর শিয়াল সাতরিয়ে নদী পার হয়ে গেল।

হাতি মনে মনে ভাবলো এই পুচকে শিয়াল যদি নদী পার হতে পারে তাহলে আমি পারবো না কেন?? আমিই তো সবচেয়ে শক্তিশালী। এ কথা ভেবে যেইনা হাতি পানিতে পা দিল আর অমনি তার বিশাল শরীরের জন্য সে ডুবে যেতে লাগলো।

সে সাথে সাথে চিৎকার করে উঠলো,, বাঁচাও বাঁচাও,, কিন্তু কেউ তাকে বাঁচাতে আসলো না। সবাই বলে উঠলো “” আমরা এখন মুক্ত স্বাধীন,,,,, নাচছি সবাই তা-ধিন তা-ধিন।।””

নীতিকথা: নিজের বড়ত্ব দেখিয়ে অহংকার করা ঠিক না।