হাড় শক্ত ও মজবুত রাখে কোন খাবারগুলো?
হাড় ভালো রাখতে প্রয়োজন ভিটামিন “ডি” এবং ক্যালসিয়ামের। শুধু হাড়ই নয়, বরং পুরো শরীর সুস্থ্য রাখতে ভিটামিন “ডি” এর গুরুত্ব অপরিসীম।
বেশিরভাগ ভিটামিন “ডি” সূর্যের আলো থেকে পাওয়া যায় আর ক্যালসিয়াম আমরা খাবার থেকে পেয়ে থাকি।
হাড়ের বিভিন্ন রোগ থেকে দূরে থাকতে ভিটামিন “ডি” এবং ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই হাড় শক্ত করতে নিয়মিত ভিটামিন “ডি” এবং ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে।
মাছ:
গর্ভাবস্থায় মাছ খাওয়ার উপকারিতা। ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড কি ভ্রুণ বা বাচ্চার জন্য দরকারী। ফ্যাটযুক্ত মাছ যেমন- স্যামন, ইলিশ, রূপচাঁদা, টুনা ইত্যাদি মাছ ভিটামিন “ডি” এবং ক্যালসিয়ামের কার্যকরী উৎস।
এই মাছগুলোতে রয়েছে ওমেগা-3 ফ্যাটি অ্যাসিড যা হাড়কে শক্ত ও শক্তিশালী রাখে। এছাড়াও, এগুলো বেশ স্বাস্থ্যকর এবং পুষ্টিকর। তাই খাদ্যতালিকায় এই ধরনের মাছ রাখতে চেষ্টা করুন।
দুধ ও দুগ্ধজাত:
দুধ এবং যে কোনো দুগ্ধজাত খাবারেই থাকে ক্যালসিয়াম। যেমন – ঘি, চিজ, পনির, এগুলো আমাদের হাড়-কে মজবুত করে।
বিশেষ করে দুধ হাড়ের ঘনত্ব বাড়াতে প্রচুর পরিমাণে সহায়তা করে। তাই হাড় মজবুত রাখতে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় অবশ্যই দুধ বা দুধ দিয়ে তৈরি খাবার রাখুন।
বাদাম:
বাদামে থাকে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ এবং ফসফরাস। হাড় শক্তিশালী করতে বাদাম খেতে পারেন। বাদামে রয়েছে বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান ও ক্যালসিয়াম।
এসব পুষ্টি উপাদান শুধু হাড়ই শক্ত করে না বরং স্বাস্থ্যও ভালো রাখে।
সবুজ শাকসবজি:
সবুজ শাক সবজি পুষ্টির অন্যতম সেরা উৎস। ব্রকলি, বাঁধাকপি, ফুলকপি, বীট ও গাজর ক্যালসিয়ামের মধ্যে অন্যতম।
এগুলোও আমাদের হাড়কে শক্ত ও শক্তিশালী করে। তাই প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় পর্যাপ্ত সবুজ শাক-সবজি রাখুন।
ডিম:
ডিম প্রোটিনের একটি দুর্দান্ত উৎস, বিশেষ করে ডিমের সাদা অংশটি। আপনার শরীরে যদি ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন “ডি” এর চাহিদা কম থাকে সেক্ষেত্রে ডিমের কুসুম অপরিহার্য। এটি আপনার হাড়কে শক্ত ও শক্তিশালী করবে।
সয়া দুধ বা টফু:
সয়া দুধ, টফু বা অন্যান্য সয়া জাতীয় খাদ্য হাড়ের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এগুলো ভিটামিন “ডি” সমৃদ্ধ। নিয়মিত এ ধরনের খাবার খেলে হাড় মজবুত ও শক্তিশালী হয়।
কুমড়ো বীজ:
কুমড়োর বীজ ম্যাগনেসিয়ামের একটি ভালো উৎস যা হাড় গঠনে সহায়তা করে। ম্যাগনেসিয়াম বেশি পরিমানে গ্রহণ করলে তা হাড়ের ঘনত্ব বাড়ায়। এতে স্বাস্থ্যকর চর্বি রয়েছে যা হাড়ের শক্তি বজায় রাখে।