স্টার টপোলজি (Star Topology) কাকে বলে? স্টার টপোলজির (Star Topology) সুবিধা ও অসুবিধা কি?
স্টার টপোলজি (Star Topology) কাকে বলে?
যে টপোলজি একটি কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণকারী কম্পিউটার বা হোস্ট কম্পিউটারের সাথে অন্যান্য কম্পিউটার সংযুক্ত করে নেটওয়ার্ক গড়ে তোলে তাকে স্টার টপোলজি (Star Topology) বলে।
এক্ষেত্রে, একটি কম্পিউটার কেন্দ্রীয় কম্পিউটারের মাধ্যমে তথ্য আদান-প্রদান করে থাকে। এ টপোলজিতে কোনো একটি কম্পিউটার নষ্ট বা বিকল হলে নেটওয়ার্ক এর উপর কোনো প্রভাব পড়ে না। খুব সহজেই সমস্যায় আক্রান্ত কম্পিউটারটি সরিয়ে নেওয়া যায়।
স্টার টপোলজির (Star Topology) সুবিধা ও অসুবিধা কি?
স্টার টপোলজির (Star Topology) সুবিধা সমূহ: |
১. সংকেত আদান-প্রদান কেন্দ্রীয়ভাবে সংযোগকারী ডিভাইসের মাধ্যমে করা হয়, তাই অপেক্ষাকৃত দ্রুতগতিতে হয়। |
২. স্টার টপোলজিতে সম্পূর্ণ নেটওয়ার্ক সচল রেখেই যেকোনো সময়ে নেটওয়ার্কে নতুন নোড যুক্ত করা যায়। |
৩. প্রতিটি নোড কেন্দ্রীয় ডিভাইস হাব বা সুইচের মাধ্যমে সংকেত আদান প্রদান করে, ফলে সংকেত সংঘর্ষ ঘটার আশঙ্কা কম থাকে। |
৪. নেটওয়ার্ক থেকে যেকোনো নোড বিচ্ছিন্ন করা হলে কিংবা নেটওয়ার্কের কোনো নোড অচল হলেও নেটওয়ার্ক সচল থাকে। |
৫. সুইচ (Switch) ব্যবহারের কারণে বাস বা রিং টপোলজির তুলনায় স্টার টপোলজির ডেটা নিরাপত্তা বেশি। |
৬. স্টার টপোলজিতে কম্পিউটারের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও ডেটা ট্রান্সমিশনের গতি স্বাভাবিক থাকে। |
৭. এই টপোলজিতে সাধারণত টুইস্টেড পেয়ার ক্যাবল ব্যবহৃত হয়, অবশ্য একই সাথে বিভিন্ন ধরনের ক্যাবল যথা: কো-এক্সিয়াল বা ফাইবার অপটিক ক্যাবল ও এই নেটওয়ার্কে ব্যবহার করা যায়। |
৮. কেন্দ্রীয় ডিভাইস হিসেবে সুইচ বা হাব ব্যবহারের ফলে দ্রুত এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে ডেটা বা উপাত্ত আদান-প্রদান করা যায়। |
৯. নেটওয়ার্ক পরিচালনা করা খুব সহজ, কারণ প্রতিটি নোডের জন্য আলাদা ক্যাবল ব্যবহার করা হয়। তাই কার্যকারিতার ক্ষেত্রে এটি সমস্ত টপোলজির মধ্যে সবচেয়ে সহজ। |
১০. স্টার টপোলজি প্রায় 100 (Mbps) এমবিপিএসের ব্যান্ডউইথকে সমর্থন করে। |
স্টার টপোলজির (Star Topology) অসুবিধা সমূহ: |
১. স্টার টপোলজির কেন্দ্রীয় ডিভাইস হাব বা সুইচ নষ্ট হলে পুরো নেটওয়ার্কটি অচল হয়ে পড়বে। |
২. স্টার টপোলজিতে বেশি পরিমাণে ক্যাবল লাগে, তাই এটি একটি ব্যয়বহুল পদ্ধতি। |
৩. স্টার টপোলজিতে কম্পিউটারের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে ডেটা ট্রান্সমিশনের হার হ্রাস পায়। |
৪. নেটওয়ার্কভুক্ত কম্পিউটারগুলো পরস্পরের মধ্যে সরাসরি তথ্য বা ডেটা আদান প্রদান করতে পারে না। |
৫. কখনও কখনও উল্লেখযোগ্য পরিমাণে রাউটিংয়ের প্রয়োজন হলে ক্যাবল রাউটিংটি কঠিন হয়ে যায়। |
৬. এই ধরনের নেটওয়ার্ক বটলনেক সমস্যার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। |
৭. কেন্দ্রীয় কম্পিউটার ক্ষতিগ্রস্ত হলে অন্যান্য কম্পিউটারও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। |