সুখী থাকার উপায়।
সুখ হচ্ছে বেঁচে থাকার প্রেরণা। সুখী মানুষ বেশি দিন বাঁচেন। সুখ পরিমাপ করা যায় না।
আবার সুখী হতে কোনো কারণও লাগে না। সুখ পুরোপুরি মনের বিষয়। চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক, জীবনে সুখী থাকার উপায় গুলো কি কি-
নেতিবাচক চিন্তা আর নয়:
নেতিবাচক চিন্তা বাদ দিয়ে ইতিবাচক চিন্তা করুন। ভবিষ্যতে খারাপ কিছু হবে এটা ভেবে বসে থেকে ভবিষ্যতে ভালো করতে কষ্ট করা উচিত।
ইতিবাচক চিন্তা শুধু ক্ষণস্থায়ী সুফলই আনে না, শরীরের উপরও দীর্ঘমেয়াদী ইতিবাচক প্রভাব পরে।
যদিও ওঠা-নামা, সুখ-দুঃখ নিয়ে আমাদের জীবন, যেকোন পরিস্থিতে আমাদের ইতিবাচক চিন্তা করতে হবে।
নিজেকে অন্যের সঙ্গে তুলনা করা যাবে না:
‘ওর ওটা আছে, আমার নেই’— ‘ও ওটা করছে, আমি করতে পারছি না’-এ ধরনের চিন্তা আপনার নিজ মানসিক শক্তিকেই কমিয়ে দেয়।
চেষ্টা করুন নিজের প্রতিভাকে বিকশিত করার।
সম্পর্ক গড়ুন:
মানুষ সামাজিক জীব। আমরা একা বসবাস করতে পারি না। তাই আমাদের বেঁচে থাকার জন্য সমাজ ও পরিবার খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
আর সমাজ ও পরিবারের পূর্ব শর্ত হলো প্রত্যেকের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তোলা।
পরিবারের সাথে সময় কাটান, বন্ধুদের সাথে মেলামেশা করুন। জীবনে সুখ পেতে সম্পর্কর বিকল্প আর কিছু নাই।
যেসব মানুষের শক্ত এবং বিস্তৃত সামাজিক যোগাযোগ রয়েছে, তারা সুখী, সুস্বাস্থ্যের অধিকারী এবং বেশিদিন বাঁচেন।
স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে হবে:
শরীর ও মন একটি আরেকটির ওপর নির্ভরশীল। শরীর ভালো থাকলে মনও ভালো থাকে। তাই একটি নির্দিষ্ট রুটিন অনুযায়ী চলার চেষ্টা করুন।
যেমন- পরিমিত পরিমাণে খাবার ও ঘুম। এছাড়া প্রতিদিন ভোরে ঘুম থেকে উঠে শরীরচর্চা করার চেষ্টা করুন। এতে দুশ্চিন্তা অনেকটাই লাঘব হয়।
নিজেকে ভালোবাসুন:
সবার আগে নিজেকে ভালোবাসতে শিখুন। কিছুটা সময় রাখুন নিজের জন্য। মাঝে মাঝে ঘুরতে যান কিংবা শখের বিষয়গুলো চর্চা করুন।
স্বকীয়তা বজায় রাখুন:
কোনো মিথ্যে অভিনয় নয়, আপনি ঠিক যেমন তেমনই থাকুন। স্বকীয়তা বজায় রাখতে যা ভালো লাগে তা-ই করুন।
নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে অথবা অন্যদের চোখে ভালো সাজতে গিয়ে নিজের স্বকীয়তা হারিয়ে ফেলা ঠিক নয়।
লক্ষ্য নির্ধারণ করুন:
লক্ষ্য নির্ধারণ করে সামনে এগিয়ে যান। আমাদের এমন লক্ষ্য নির্ধারণ করা উচিত যা পূরণ করতে আমাদের ভালো লাগবে।
লক্ষ্যহীন ভাসমান জীবন কেবল হতাশার সৃষ্টি করে। তাই জীবনকে আনন্দঘন করে তোলার জন্য কোন একটা কারণ খুঁজে বের করুন।
অন্যের প্রতি সহযোগিতা:
দেখবেন অন্যের জন্য ভালো কিছু করতে পারলে মনের ভিতর এক অন্য রকম ভালো লাগা অনুভূতি হয়। কাউকে সাহায্য করলে শুধু যে সে উপকৃত হয় এমনটা কিন্তু নয়।
কথায় আছে অসুখ নাকি মনের ভিতর হয়। সেই মন যদি সুখী থাকে তাহলে আর কি দরকার। আর মন সুখী করতে অন্যকে সহযোগিতা করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
এতে আপনিও সুখী হবেন আর এই মনের শান্তির জন্য আপনার স্বাস্থ্য ভালো থাকবে। সব সময় নিজের ব্যাপারগুলো না দেখে অন্যদের সমস্যাগুলোও বোঝার চেষ্টা করুন।
নতুন কিছু শিক্ষার চেষ্টা করুন:
নতুন কিছু শিক্ষার ইচ্ছা আমাদের শরীর ও মনের উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। সব নেতিবাচকতা এড়িয়ে নিজেকে অভয় দিন, ‘দিন শেষে আমিই জয়ী!’