শীতের সকালের গল্প।

শীতের সকাল

—————————

শীতের সকাল। নানা শরিফাকে নিয়ে রোদ পোহাচ্ছেন। হাতে খবরের কাগজ। শরিফা বই পড়ছে।

শরিফা: নানা, রোদ মিষ্টি হয় কি করে?

নানা: এটা তুমি কোথায় পেলে বুবু?

শরিফা: আপনার খবরের কাগজে।

নানা: ও এই কথা। এই যে তুমি রোদে বসে পড়ছো। তোমার ভালো লাগছে?

শরিফা: হ্যাঁ, লাগছে।

নানা: এখন যদি ঘরে বসে পড়তে কেমন লাগতো?

শরিফা: ওহ! ঘরে এখন ভারি ঠান্ডা। খুব শীত করতো।

নানা: তা হলেই বোঝো। শীতের সকালে রোদে তোমার আরাম লাগছে। ভালো লাগছে। এই ভালো লাগাটাই মিঠা। মানে মিষ্টি।

এমন সময় রান্নাঘর থেকে মায়ের ডাক এলো।

মা: শরিফা এসো। নানার জন্য নাস্তা নিয়ে যাও। শরিফা নাস্তা নিয়ে এলো। নানার জন্য খাবার পানি নিয়ে এলো। হাত মোছার গামছা নিয়ে এলো।

নানা নাস্তা খেতে খেতে বললেন, গরম রুটির মজাই আলাদা।

শরিফা: আর কিছু লাগবে নানা?

নানা: আমার ওষুধের কৌটাটা এনে দাও বুবু। শরিফা ঘর থেকে ওষুধের কৌটাটা এনে দিল। গ্লাসে পানি ঢেলে দিল। কৌটা থেকে ওষুধ বের করে নানার হাতে দিল।

নানা: বেঁচে থাকো বুবু। অনেকগুলো ভালো কাজ করেছ আজ।

শরিফা খুশি হয়ে নানাকে জড়িয়ে ধরল।