শিয়াল ও মুরগির গল্প।
সে অনেক অনেক আগের কথা, এক বনে অনেক মুরগি থাকত। তারা নিজেরা নিজেদের মধ্যে সারাক্ষণ মারামারি করত ও মারা যেত। বনের রাজা অনেক ভেবে চিন্তে মুরগিদের নিরাপত্তার জন্য কিছু শিয়াল নিয়োগ দিলেন।
সেই থেকে গঠিত হলো নতুন এক বাহিনী। মুরগি রক্ষা বাহিনী। বাহিনী অ্যাকশানে নেমে গেল কিন্তু সাধারণ মুরগির মৃত্যু কমল না।
একদিন বনের রাজা মুরগি রক্ষা বাহিনীর প্রধানকে ডেকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘ব্যাপার কী, এত মুরগি মারা যাচ্ছে কেন?’ বাহিনীর প্রধান বললেন, মুরগিগুলা খুব বদমাইশ!
একটাকে ধরে জিজ্ঞেস করলাম এত যে মারামারি করো, অস্ত্র পাও কই? তারপর গভীর রাতে তারে নিয়া অস্ত্র উদ্ধারে গেলাম কিন্তু আগে থেকেই ওত পেতে থাকা কিছু মরগি আমাদের আক্রমণ করল! আমরাও আক্রমণ করলাম, ব্যস কানা মুরগিটা স্পট ডেড!
বিষয়টি নিয়ে বনের রাজা মুরগি রক্ষা বাহিনীর প্রধানকে জিজ্ঞেস করলে তিনি একই ব্যাখ্যা দিয়ে চললেন। সাধারণ মুরগিদের মধ্যে গুঞ্জন উঠল, শিয়াল নিজেই মুরগি খাওয়া শুরু করেছে। কিন্তু বনের রাজা ভাবলেন, তা কী করে হয়।
একদিন দিনে-দুপুরে একদল শিয়াল কয়েকটা মুরগি ধরে নিয়ে গেল। সেদিনই মুরগিগুলোর মৃতদেহ পাওয়া গেল বনের পাশের এক ডোবায়। সবাই নিশ্চিত হলো শিয়াল নিজেই মুরগি খাওয়া শুরু করেছে। সেই থেকে ‘শিয়ালের কাছে মুরগি বর্গা দেওয়া’ প্রবাদটি প্রচলিত হলো বনে।