লবঙ্গ দাঁতের যন্ত্রণা কমায় এবং খুশখুশি কাশি দূর করে।
প্রত্যেক রান্নাঘরেই এলাচ, দারচিনি, লবঙ্গ পাওয়া যায় একত্রে যেটাকে আমরা গরম মশলা বলে থাকি। সেই গরম মসলারই একটি অংশ লবঙ্গ।
লবঙ্গের গুণাগুণ শুধু রান্নাতেই নয়, তার বাইরেও আছে। লবঙ্গের সুমিষ্ট ঘ্রানের পাশাপাশি এর অসাধারণ ঔষধী গুনাগুন রয়েছে।
লবঙ্গ গাছের ফুলের কুঁড়ি হলো লবঙ্গ যার বৈজ্ঞানিক নাম Syzygium aromaticum। যদিও লবঙ্গের স্বাদ একটু ঝাঁঝালো তারপরও এটা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী।
লবঙ্গের উপকারীতা
দাঁতের জন্য লবঙ্গ খুবই উপকারি। দাঁতের যন্ত্রণায় কষ্ট হলে, লবঙ্গ চিবিয়ে খেলে যন্ত্রণা কমবে।
সর্দি, কাশিতে লবঙ্গ বা লবঙ্গ চা খেলে খেলে আরাম পাওয়া যায়। এছাড়া কফ দূর হয় এবং মুখের বাজে দুর্গন্ধ দূর হয়।
লবঙ্গের মধ্যে থাকা কিছু উপাদান ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে। টেস্ট টিউবের এক পরীক্ষায় দেখা গেছে যে, লবঙ্গ টিউমারের বৃদ্ধি বন্ধ করে দেয়। এবং ক্যান্সারের সেল (cell) গুলি মারতে সাহায্য করে।
লবঙ্গের মধ্যে এন্টিব্যাক্টরিয়াল গুনাগুন রয়েছে, যা ব্যাক্টেরিয়ার বৃদ্ধি বন্ধ করতে পারে।
বমি বমি ভাব দূর করতে গুঁড়ো লবঙ্গের সাথে মধু মিশিয়ে খেয়ে নিন। আরাম পাবেন।
হাল্কা গরম পানিতে লবঙ্গের গুঁড়ির সাথে মধু যোগ করে, সেটা খেয়ে নিন অথবা লবঙ্গ চা ও খেতে পারেন। ভাইরাল ফিভারে কাজে দেবে।
ব্রণ দূর করতে লবঙ্গ খুবই কার্যকর। লবঙ্গের গুঁড়ো সামান্য মধুর সাথে মিশিয়ে ব্রণের ওপরে দিয়ে রাখুন। ব্রণ দূর হবে।
লবঙ্গের মধ্যে থাকা ভিটামিন কে এবং ম্যাঙ্গানিজ হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে।
লবঙ্গের মধ্যে থাকা ইউজেনল (eugenol) লিভারের জন্য ভালো।
গবেষণা করে দেখা গেছে যে, লবঙ্গ ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রনে রাখে।
যেহেতু লবঙ্গের (clove) অনেক স্বাস্থ্য উপকারীতা রয়েছে, তাই প্রতিদিন লবঙ্গ বা লবঙ্গ চা খাওয়ার অভ্যাস ভালো।
এটা আমরা সবাই জানি অতিরিক্ত কোনো কিছুই ভালো না। তাই আমাদের পরিমান মতো খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে।