র‌্যাম (RAM) কাকে বলে? র‌্যামের প্রকারভেদ সমূহ।

র‌্যাম (RAM) কাকে বলে?


RAM এর পূর্ণরূপ হলো (Random Access Memory) র‌্যান্ডম অ্যাক্সেস মেমোরি। মাদারবোর্ড এর সঙ্গে RAM সাধারণত সংযুক্ত থাকে। RAM কে সুপার ফাস্ট (super-fast) অস্থায়ী মেমোরিও বলা হয়। অস্থায়ী কারণ কম্পিউটার, মোবাইল বন্ধ করলে RAM এর মধ্যে থাকা সব ইনফরমেশন বা তথ্য মুছে যায়।

real-random

সাধারণত তথ্যসমূহ পঠন ও পরিবর্তনে র‌্যাম ব্যবহৃত হয়ে থাকে। র‌্যাম এ তথ্য পড়া ও লেখা উভয় কাজ করা হয় বলে একে লিখন বা পঠন স্মৃতিও বলা হয়ে থাকে। কম্পিউটার ব্যবহারকারী র‌্যামে তথ্য সংরক্ষণ ও রক্ষিত তথ্য মুছে পুনরায় নতুন তথ্য রাখতে পারেন।

র‌্যামের প্রকারভেদ সমূহ:


অপারেটিং মোড অনুসারে র‌্যামকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়। যথা:

১. স্ট্যাটিক র‌্যাম (Static RAM)
২. ডাইনামিক র‌্যাম (Dynamic RAM) বা DRAM

স্ট্যাটিক র‌্যাম (Static RAM):



Static RAM

সাধারণত টিটিএল (TTL-Transistor-Transistor Logic) বা মেটাল অক্সাইড সেমিকন্ডাক্টর (Metal Oxide Semiconductor) দিয়ে এ ধরনের র‌্যাম তৈরি করা হয়। বিদ্যুৎপ্রবাহ যতক্ষণ চালু থাকে ঠিক ততক্ষণ নিশ্চল র‌্যামে উপাত্ত ও তথ্য সংরক্ষিত থাকে।

স্ট্যাটিক র‌্যাম অত্যন্ত দ্রুতগতিসম্পন্ন বলে এটা ভিডিও র‌্যাম, ক্যাশ মেমোরি ইত্যাদি ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়।

ডাইনামিক র‌্যাম (Dynamic RAM) বা DRAM:



DRAM

সাধারণত মসফেট (MOSFET- Metal Oxide Semiconductor Field Effect Transistor) ও ক্যাপাসিটর ব্যবহার করে এ ধরনের র‌্যাম তৈরি করা হয়। ক্যাপাসিটরে চার্জ থাকলে 1 অবস্থা না থাকলে 0 অবস্থা বুঝায়।

বিদ্যৎপ্রবাহ থাকা অবস্থায় ক্যাপাসিটরের চার্জ ধীরে ধীরে নষ্ট হয়ে যায়। তাই কয়েক মিলি সেকেন্ড পর পর ড্রাম কন্ট্রোলারের সাহায্যে প্রত্যেক মেমোরি কোষে লেখা তথ্য নতুন করে লিখতে হয়। কম্পিউটারের পরিভাষায় একে মেমোরি রিফ্রেশিং বলা হয়।

এ সকল র‌্যামে তথ্য মুছে বার বার লিখা যায়। নতুন তথ্য লেখার সঙ্গে সঙ্গে পুরাতন তথ্য নিজে থেকেই মুছে যায়। মাইক্রোকম্পিউটারের প্রধান মেমোরি হিসাবে সাধারণত (DRAM) ব্যবহার করা হয়।