রান্নায় তেলের ব্যবহার কমাতে কিছু কৌশল মেনে চলুন।
তেলে মসলায় কষিয়ে রান্না না করলে যেন বাঙালির খাওয়া দাওয়া ঠিক জমে না। সিদ্ধ খেলেও তাতে তেল লাগে। ভাজাপোড়া, মাছ, মাংস হলে তো তেল ছাড়া কথাই নেই৷
চিকিৎসকরা যতই বলুক তেল কম খাওয়ার কথা তা যেন আমাদের কান পর্যন্ত পৌঁছায় না। আর ফল স্বরূপ শারীরিক সমস্যাও বাড়ে৷
হজমের সমস্যা, পেট খারাপ, পেট জ্বালা করা এ সব তো লেগেই থাকে। সেই সঙ্গে রয়েছে স্থূলতার মতো সমস্যা।
আর যাদের ট্রাইগ্লিসারাইড বা কোলেস্টেরলের সমস্যা আছে, তাদের কিন্তু একেবারেই তেল খাওয়া ঠিক নয়।
রান্নায় তেলের ব্যবহার কমাতে মেনে চলুন কিছু কৌশল
যারা হাজার চেষ্টা করেও কিছুতেই রান্নায় তেলের ব্যবহার কমাতে পারছেন না। তাদের জন্য রান্নায় তেলের ব্যবহার কমাতে কিছু কৌশল দেওয়া হলো –
ননস্টিক কড়াই ব্যবহার করুন:
ননস্টিক কড়াইতে রান্না করলে তেল খুব কম লাগে। এই কড়াইতে অল্প তেলে ঢাকা দিয়ে চটজলদি রান্না করা যায়।
সেই খাবারের স্বাদও কিন্তু দারুণ হয়। তবে ননস্টিক কড়াই অবশ্যই ভালো মানের হতে হবে।
চামচে মেপে তেল ব্যবহার করুন:
রান্নায় অতিরিক্ত তেল দিলেই যে তার স্বাদ বৃদ্ধি পাবে এমনটা নয়। অনেকে মনে করে রান্নায় যদি বেশি তেল দেওয়া হয় তাহলে রান্নায় স্বাদ বেরে যায়।
সাধারণত বড় যে বোতলে তেল রাখা থাকে সেই বোতল থেকেই আমরা সরাসরি তেল রান্নায় ব্যবহার করি।
যেটা একেবারেই ভাল নয়। এতে করে রান্নায় তেল বেশি পরে যায়। তাই চামচে মেপে তেল ব্যবহার করাই ভাল।
বেক করুন:
মুরগি কিংবা মাছ বর্তমানে অনেকে বেক করে খান। বিশেষত যারা ডায়েট করেন। কারণ কষিয়ে রান্না করতে গেলে তেল বেশি লাগে।
তাই তেলের ব্যবহার কমাতে মশলা মাখিয়ে মাছ, মাংস বেক করতে পারেন।
ভাপে রান্না করুন:
যে কোনও সবজি ভাজার আগে ভাপিয়ে নিন। এতে রান্না করতে যেমন কম সময় লাগে তেমনই কিন্তু তেলও খুব কম লাগে।
বজায় থাকে পুষ্টিগুণও। মাছ, ডিম, পনির কিংবা মুরগির বিভিন্ন পদও ভাপেই রান্না করা যায়। এই পদ্ধতিতে রান্না করলে তেলের সাশ্রয় হয়।
আগে থেকে মশলা মাখিয়ে রাখুন:
রান্নার বেশ কিছুক্ষণ আগে মাছ, মাংস কিংবা অন্যান্য খাবারে মশলা মাখিয়ে রাখুন। এতে রান্নার স্বাদও বৃদ্ধি পাই আর তেলও কম লাগে।