যে খাবারগুলো ফ্রিজে রাখা উচিত নয়।
আমাদের মধ্যে অনেকেরই মতামত রয়েছে যে ঠাণ্ডা পরিবেশে খাবার রাখলে এগুলি আরও দীর্ঘস্থায়ী হয়। দুর্ভাগ্যক্রমে, সমস্ত খাবারের জন্য এটি সত্য নয়। সব কিছুই ফ্রিজে ভালো থাকে না।
মানুষের একটি সাধারণ বিশ্বাস আছে যে একটি শীতল পরিবেশ আমাদের খাবারের জন্য নিরাপদ এবং স্বাস্থ্যকর। খাবার গরম তাপমাত্রায় দ্রুত পচে যায়।
মাইক্রোরগানিজম এবং ব্যাকটিরিয়া গরম তাপমাত্রায় বৃদ্ধি পায়। সুতরাং, সমস্ত মাছ, মাংস, শাকসবজি এবং রান্নার খাবারগুলি শেষ গন্তব্য একটি রেফ্রিজারেটর।
এখানে কয়েকটি খাবার রয়েছে যা আপনার রেফ্রিজারেটরে রাখা উচিত নয়:
আলু
আলু ফ্রিজে রাখলে এর ভেতরে থাকা শ্বেতসার ভেঙ্গে যায় এবং নরম হয়ে পড়ে।
ফলে এর স্বাদ নষ্ট হয় এবং খেতে বালুর মতো লাগে। ফ্রিজে আলু সংরক্ষণ করলে আলুতে থাকা স্টার্চ চিনিতে পরিণত হয়ে যার ফলে আলু একটু মিষ্টি ভাব হয়।
তাই খোলা ঝুড়িতে স্বাভাবিক তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করতে হয় আলু।
পেঁয়াজ
পেঁয়াজ ফ্রিজে রাখতে চাইলে কোনো ব্যাগে ভরে মুখ বন্ধ করে এবং সবজির ড্রয়ারে রাখুন।
পেঁয়াজ ফ্রিজে না রাখাই ভালো। কেননা ফ্রিজের আর্দ্রতা পেঁয়াজের স্বাভাবিত স্বাদ ও গন্ধ নষ্ট করে ফেলে। পেঁয়াজ রবারের মতো হয়ে যায়।
টমেটো
টমেটো ফ্রিজে রাখলে সেগুলো নিস্তেজ ও স্বাদহীন হয়ে পড়ে। টমেটো ফ্রিজে রাখলে টমেটোর ভেতরের মেমব্রেন বা পর্দা নষ্ট হয়ে যায়।
এই কারণে টমেটোর স্বাদ ও গন্ধ থাকে না। সুতরাং জানালার ধারে খোলা কোনো কন্টেইনারে টমেটো সংরক্ষণ করা উচিত। তাহলেই সেগুলো তাজা ও রসালো থাকবে।
রসুন
রসুনও ঠাণ্ডা এবং শুকনো স্থানে রাখতে হয়। ফ্রিজের আর্দ্রতা রসুনের স্বাদ নষ্ট করে ফেলে।
রুটি
বেকারি বিশেষজ্ঞরা রুটি ফ্রিজে না রাখারই কথা বলেন। ফ্রিজে রাখলে নিম্ন তাপমাত্রার কারণে রুটি শক্ত হয়ে যায় এবং স্বাভাবিক ভাবে চিবানো অসম্ভভ হয়ে পড়ে।
মধু
মধু সবসময়ই স্বাভাবিক তাপমাত্রায় রাখতে হয়। ফ্রিজে রাখলে মুধ দানা বেধে যেতে পারে। তাই ঘরের তাপমাত্রা মুধর জন্য আদর্শ।
কফি
কফি সাধারণত বায়ুনিরোধী পাত্রে সংরক্ষণ করতে বলা হয়। ফ্রিজে রাখলে আর্দ্রতা ও স্যাঁতসেঁতে পরিবেশের কারণে কফি বীজ বা পাউডার এবং কফির স্বাদ নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
বাদাম
বাদাম একটি শুকনো ফল এটি ফ্রিজে রাখলে আরো শুকিয়ে শক্ত হয়ে যায় যা খাওয়ার উপযুক্ত থাকে না। তাই এগুলো একটি কোটায় ঘরের সাধারণ তাপমাত্রায় রাখাই ভালো।
কলা
কলা সংরক্ষণের জন্য ফ্রিজে রাখা উচিত নয়, কারণ কলা ফ্রিজে রাখলে এর খোসা দ্রুত কালো বা বাদামি রংয়ের হয়ে যায় এবং দ্রুত পেকে নরম হয়ে যায়।