মাটির পাত্রে রান্নার উপকারিতা।
পহেলা বৈশাখ বা অন্যান্য অনুষ্ঠানে শখের বসে মাটির পাত্রে রান্না ও খাবার পরিবেশন করা হয়। মাটির পাত্রে খাওয়া এবং রান্না দুই ক্ষেত্রেই রয়েছে উপকার। বর্তমান সময়ে হরেক রকমের কাচ বা স্টিলের পাত্রের ব্যবহার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মাটির পাত্রের ব্যবহার প্রায় হারাতে বসেছে।
আসুন এবার জেনেনি, মাটির পাত্রে রান্নার উপকারিতা গুলো কি কি?
মানব স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী:
মাটির পাত্র এক ধরনের ক্ষারীয় উপাদান দিয়ে তৈরি যা খাবারের অ্যাসিড প্রক্রিয়াজাতকরণে সাহায্য করে এবং হজমে সহায়তা করে। মাটির পাত্রে রান্না করলে খুব সহজেই তেলের ব্যবহার এড়িয়ে যাওয়া যায়। কেননা এর প্রাকৃতিক আর্দ্রতা খাবার ভালোভাবে রান্না করার জন্য উপযোগী।
প্রাকৃতিক ক্ষারীয় উপাদান:
মাটির পাত্র কাদা দিয়ে তৈরি করা হয়। যাতে প্রাকৃতিক ভাবে ক্ষারীযুক্ত হয়। তাপ প্রয়োগে মাটির পাত্র খাবারের অ্যাসিডের সঙ্গে মিথস্ক্রিয়া করে এবং পিএইচ’য়ের ভারসাম্য বজায় রাখে। যা খাবারকে সহজপাচ্য করে। তাছাড়া এটা খাবারের পুষ্টি উপাদান যেমন- লৌহ, ক্যালসিয়াম, ম্যাগ্নেসিয়াম এবং সালফার ঠিক রাখে।
তেলের কম ব্যবহার:
মাটির পাত্রে রান্নার আরেকটি ভালো দিক হল, এতে তেল কম লাগে। ধীর গতিতে রান্না ও তাপ নিরোধক হওয়ায় এটা খাবারের প্রাকৃতিক তেল ও আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
স্বাদ ও গন্ধ:
স্বাদ ও পুষ্টির বিবেচনায় সব ধরনের রান্নার জন্য মাটির পাত্র উপযোগী। আয়ুর্বেদশাস্ত্র অনুযায়ী, মাটির পাত্র রান্না ধীর করে এবং খাবারের স্বাদ ও মান উন্নত করে। খাদ্যের পুষ্টিমান বজায় রেখে স্বাদ ও গন্ধ অক্ষুণ্ন রাখে বা বাড়িয়ে দেয় মাটির পাত্র। যা অন্যান্য উপাদানের তৈজস দিয়ে সম্ভব নয়।
সস্তা ও সহজ প্রাপ্য:
মাটির পাত্রের দাম অন্যান্য তৈজসের তুলনায় বেশ সস্তা। আর রাস্তার পাশের দোকানেই পাওয়া যায়।
খাবারকে পুষ্টিকর করে তোলে:
কাদামাটির হাঁড়িতে রান্না করলে খাবারে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম ও সালফার জাতীয় অনেক গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদানযুক্ত হয়, যা আমাদের দেহের জন্য খুব উপকারী।