ভ্রমণের সময় কোন খাবার সাথে রাখা ভালো?
ভ্রমণ আমাদের মনকে প্রফুল্ল রাখে এবং শরীরকেও সুস্থ রাখে। কিন্তু ভ্রমণের সময় স্বাস্থ্যকর খাবার নিয়ম মেনে গ্রহণ করা আমাদের জন্য বেশ বড় ধরনের একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। ভিন্ন স্থান, ভিন্ন রুটিন, ভিন্ন পরিবেশে এবং সময়ের সাথে মানিয়ে খাদ্যাভ্যাসকে ঠিক রাখা আমাদের জন্য দারুণ কষ্টসাধ্য বিষয় হয়ে থাকে।
আমাদের নিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাসের মাঝে অনিয়ন্ত্রিত খাদ্য গ্রহণের কারণে দেখা দিতে পারে নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা। আমরা ভ্রমণে থাকাকালীন সময়ে বাইরের খাবারের ওপর নির্ভর করতে হয় সবচেয়ে বেশি, যা থেকেই আমাদের শুরু হতে পারে বিভিন্ন ধরনের সাস্থ সমস্যা। তাই আমাদের জানতে হবে ভ্রমণের সময় কোন খাবার সাথে রাখা ভালো।
ভ্রমণের সময় কোন খাবারগুলো সাথে রাখা ভালো তা নিচে আলোচনা করা হলো:
একটা বিষয় খেয়াল রাখা প্রয়োজন, ভ্রমণে থাকাকালীন সময়ে ভারি খাবার খাওয়ার পরিবর্তে হালকা খাবার ও পর্যাপ্ত পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। সেই হিসাবে যে খাবারগুলো গুরুত্বপূর্ণ তার কয়েকটি তালিকায় তুলে ধরা হলো।
ফল:
ভ্রমণের সময় কমলালেবু, কলা ও আপেলের মতো ফল সাথে রাখা যেতে পারে। এগুলো বহনে সুবিধাযোগ্য, ক্ষুধা নিবারনে সাহায্য করে থাকে এবং পুষ্টি সমৃদ্ধ হওয়ায় এসব ফলগুলো আমাদের তালিকাতে রাখা উচিত।
ড্রাই ফ্রুটস ও বাদাম:
ভ্রমণের সময়ে ক্লান্তিবোধ হলে কয়েকটা কিশমিশ বা কয়েকটা কাঠবাদাম খেলেই পুনরায় শক্তি পাওয়া যাবে। এই খাবারগুলো আমাদের তাৎক্ষণিক শারীরিক শক্তি প্রদান করে থাকে। তাই আমাদের বাদাম বা ড্রাই ফ্রুটস সাথে রাখা প্রয়োজন।
স্যান্ডউইচ:
পাউরুটিতে টমেটো, মাখন, শসা, শুকনো মুরগির মাংস দিয়ে স্যান্ডউইচ তৈরি করে সাথে রাখলে প্রয়োজন অনুযায়ী খাওয়া যাবে। এটি আমাদের ক্ষুধা নিবারন করবে এবং সাদামাটা উপাদান দিয়ে তৈরি বলে দ্রুত নষ্ট হবে না।
শুকনো খাবার:
ভ্রমণের সময় শুকনো খাবার আমাদের জন্য সবসময়ই খুব সুবিধাজনক হয়ে থাকে। আগে একটা সময়ে দুরের পথ পাড়ি দেওয়ার ক্ষেত্রে শুকনো গুঁড় ও মুড়ি সাথে রাখার প্রচলন ছিল। এখনকার সময়ে চাইলে অনেক ধরণের শুকনো খাবার রাখা যেতে পারে। ঘরে তৈরি কেক, চিড়া, পিঠা বা মুড়ির তৈরি মোয়াও রাখা যেতে পারে।