প্রাকৃতিকভাবে গলা বুক জ্বালাপোড়া দূর করার উপায়।
হঠাৎ করে বুক জ্বালা-পোড়া করা, এই সমস্যাটার সাথে আমরা সবাই কম বেশি পরিচিত। মাঝে মাঝে পেটে বা গলার কাছাকাছিও এই জ্বালা পোড়া করে। তারপর হঠাৎ করেই একটা টক ঝাল ঢেকুর আসে। এই ঢেঁকুরের ফলে গলা নাক জ্বলতে থাকে।
একে হার্টবার্ন (Heartburn) বা অ্যাসিড রিফ্লাক্স বলে। অ্যাসিডিটি বা গ্যাসের সমস্যা খুব সাধারণ একটি সমস্যা। একটু অসাবধান হলে শুরু হয়ে যেতে পারে এই সমস্যা। অ্যাসিডিটি বা গ্যাসের সমস্যার প্রধান লক্ষণ হল বুক জ্বালাপোড়া।
ঘরোয়া উপায়ে গলা-বুক জ্বালাপোড়া দূর করার উপায়
আসুন জেনে নিই, ঘরোয়া উপায়ে কিভাবে গলা বুক জ্বালাপোড়া দূর করা সম্ভব-
তুলসি:
৪-৫ টি তুলসি পাতা চিবিয়ে খান এতে বুকে জ্বালাপোড়া কমে যাবে। এছাড়া ১ কাপ পানিতে ৫/৬ টি তুলসি পাতা দিয়ে ফুটিয়ে নামিয়ে গরম গরম পান করুন। এটি বুক জ্বালাপোড়া তাৎক্ষনিক কমিয়ে দেবে।
আদা:
১ কাপ পানিতে ১ চামচ আদা কুচি দিয়ে কয়েক মিনিট জ্বাল দিয়ে গরম গরম পান করুন। আদা বুক জ্বালাপোড়া কমাতে সাহায্য করে।
বেকিং সোডা:
এক গ্লাস পানিতে ১ চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে পান করুন। তাৎক্ষনিক বুক জ্বালাপোড়া কমাতে এটি বেশ কার্যকর।
অ্যালোভেরার জুস:
বুক জ্বালাপোড়া কমাতে অ্যালোভেরা জুস পান করুন। অ্যালোভেরার জুস বুক জ্বালাপোড়া রোধ করে ইনফ্লামেশন দূর করে। তবে অতিরিক্ত কোন কিছুই ভালো না। বেশি পরিমাণ অ্যালোভেরা জুস পানে ডায়ারিয়া হতে পারে।
ঠাণ্ডা দুধ:
বুক জ্বালাপোড়া কমাতে ঠাণ্ডা দুধের জুড়ি নেই। বুক ও পেটের যন্ত্রণাদায়ক জ্বালা থেকে মুক্তি দেয়।
দই:
দইয়ে ল্যাকটোব্যাকিলাস, অ্যাসিডোফিলাস ও বিফিডাসের মতো নানা ধরনের উপকারী ব্যাকটেরিয়া থাকে। এই সকল উপকারী ব্যাকটেরিয়া দ্রুত খাবার হজমে সাহায্য করে।
জিরা:
১ কাপ পানিতে ২ চামচ জিরা দিয়ে ১০ মিনিট জ্বাল দিন। ঠান্ডা হয়ে গেলে এটি পান করুন। এই পানি বুক জ্বালাপোড়া কমাতে সাহায্য করবে।
গুড়:
গবেষকরা বলেছেন, গুড়ের উপকারীতা অনেক। তারা বলেছেন, প্রতিদিন খাওয়ার পর একটু গুড় খান তাহলে হজম হবে খুব তাড়াতাড়ি। আমাদের হজমে সাহায্য করা এনজাইমের শক্তিকে গুড় বাড়িয়ে দেয়। সে কারণে প্রতিদিন খাওয়ার পর অল্প একটু হলেও গুড় খাওয়া উচিত।