প্রতিদিন অ্যালোভেরা জুস খান লিভার সুরক্ষিত রাখুন।
ঘৃতকুমারী এর বৈজ্ঞানিক নাম: Aloe vera। আমরা সবাই অ্যালো ভেরা নামেই জানি। এটা দেখতে আনারস গাছের মতো। এর পাতা গুলো পুরু, দুধারে করাতের মতো কাঁটা এবং ভেতরে লালার মতো পিচ্ছিল শাঁস আছে।
অ্যালোভেরা গাছ দোঁআশ ও বেলে মাটিতে ভালো হয়। এটার অনেক ঔষধী গুন আছে। অ্যালো ভেরা গাছ আমরা টবেও চাষ করতে পারি।
অ্যালোভেরার কী কী গুন আছে চলুন তা জেনে নি।
- মানবদেহের জন্য যে ২২টা এমিনো এসিড প্রয়োজন তার ৮টি অ্যালোভেরাতে রয়েছে। এছাড়াও আছে ভিটামিন A, B1, B2, B6, B12, C এবং E
- আপনি যদি নিয়মিত অ্যালোভেরা জুস পান করেন তাহলে আপনার ক্লান্তি দূর হবে এবং দেহ সতেজ ও সুন্দর থাকবে।
- ডায়রিয়া সারাতেও অ্যালোভেরা রস দারুণ কাজ করে।
- অ্যালোভেরা জুস হজম শক্তি বাড়ায় এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়।
- দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
- মুখের দুর্গন্ধ দূর করে।
- নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। এছাড়া চুল মোলায়েম এবং খুশকি দূর করতে সাহায্য করে।
- মানব দেহের টিস্যু নিষ্প্রাণ হয়ে গেলে, ত্বকে ফুসকুড়ি উঠলে এ ক্ষেত্রে অ্যালোভেরা জেল খুবই উপকারী।
- এলার্জি সমস্যা দূর করে। যাদের তীব্র এলার্জি আছে তাঁরা ১ মাস নিয়মিত অ্যালোভেরার শরবত খান ফল পাবেন।
- মেছতা দূর করার অন্যতম একটি উপাদান হলো অ্যালোভেরা। এটা ত্বকের যাবতীয় সমস্যা দূর করে। এছাড়াও ত্বকের উজ্জলতা বাড়ায় এবং রোদে পোড়া ত্বকের ক্ষেত্রেও উপকারী।
- অ্যালোভেরা জুস নিয়মিত পান করলে ওজন ঠিক থাকে।
- অ্যালোভেরার রস লিভারের জন্য ভালো।
- কোমরে ব্যথা হলে অ্যালোভেরার শাঁস মালিশ করলে উপকার পাবেন ।
- দেহে নতুন কোষ তৈরি করে। এছাড়া হাড় ও মাংশপেশির জোড়াগুলোকে শক্তিশালী করে।
অ্যালোভেরা জুস আমরা রাস্তার পাশ থেকে কিনে খেয়ে থাকি,তবে এটা সবসময় স্বাস্থ্যকর হয় না। তাই আমাদের উচিত এটা বাড়ি তৈরী করে খাওয়া।
অ্যালোভেরা জুস তৈরী করা খুব সহজ। প্রথমে, অ্যালোভেরা পাতা পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে নিন।
তারপর কেটে শাঁস বের করে একটি পরিষ্কার গ্লাসে রাখুন, তারপর একেএকে পরিমান মতো পানি, বিট লবণ, মধু, লেবুর রস দিয়ে মিশিয়ে খেয়ে নিন।
আমরা যদি অ্যালোভেরার ঔষধী গুনের কথা বিবেচনা করি তাহলে, প্রতিদিন ১ গ্লাস অ্যালোভেরা জুস খাওয়া উচিত। স্বাস্থ্যকর খাবার খান সুস্থ্য জীবন যাপন করুন -এটাই কাম্য।