দাদির হাতের মজার পিঠার গল্প।

দাদির হাতের মজার পিঠা

—————————

বাংলাদেশে শীতকালে পিঠাপুলি খাওয়ার ধুম পড়ে যায়। এ সময় ঘরে ঘরে ওঠে নতুন ধান। ঢেঁকিতে ধান ভানা হয়। ধান ভানার পর সেই চাল গুঁড়ো করা হয়। তা দিয়ে তৈরি হয় নানা ধরণের পিঠা। নানা ধরণের অনুষ্ঠানে পিঠা খাওয়া হয়।

এসব পিঠার সুন্দর সুন্দর নাম আছে। যেমনঃ খেঁজুর পিঠা, চুষি পিঠা, বিবিখানা পিঠা, চিতই পিঠা, ছিট পিঠা, সেমাই পিঠা, ভাপা পিঠা, দুধ চিতই পিঠা, পাটিসাপটা, পুলি, নারকেল পিঠা। এমনি নানা নামের পিঠা। শীতকালে গরম গরম পিঠার মজাই আলাদা।

শীতের ছুটিতে তুলি আর তপু যায় নিজেদের গ্রামে। ঘুম থেকে উঠে তারা দেখে দাদি পিঠা তৈরি করছে।

তুলি: দাদিমা, এটা কি পিঠা?

দাদি: এটাকে বলে ভাপা পিঠা।

তপু: ভাপা পিঠা বানাতে কি কি লাগে?

দাদি: চালের গুঁড়ো, খেঁজুরের গুড় আর কোরা নারকেল।

এরই মধ্যে দাদি পিঠা বানানোর ছাঁচে চালের গুঁড়ো নিলেন। তার ভিতর দিলেন গুড় আর কোরা নারকেল। উনুনে পানির হাঁড়ির উপর সেই ছাঁচ রাখলেন। ভাপে সেদ্ধ হলো পিঠা। এর মধ্যে সেখানে এসে উপস্থিত হলেন তাদের ফুফু আর ফুফাতো ভাইবোন। ভাইটির নাম অনু। বোনটির নাম পলা।

তুলি: অনু, তুমি কোন শ্রেণীতে পড়?

অনু: দ্বিতীয় শ্রেণীতে।

তপু: পলা তুমি কোন শ্রেণীতে পড়?

পলা: প্রথম শ্রেণীতে।

সাতদিন বাড়িতে থাকলো তারা। কতো রকম মজাদার পিঠাই যে খেল। বাংলাদেশ পিঠাপুলির দেশ। একেক অঞ্চল একেক রকম পিঠার জন্য বিখ্যাত।