দই কাতলার রেসিপি।
কথায় আছে মাছে ভাতে বাঙালি। অর্থাৎ বাঙালির খাবারের আয়োজনে মাছ আর ভাত থাকবেই থাকবে। তাছাড়া সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রতিদিন খাদ্যতালিকায় মাছ রাখা প্রয়োজন। নিয়মিত মাছ খেলে দেহের মেটাবলিজম বৃদ্ধি পায় ও দৃষ্টিশক্তি উন্নতি হয়। গর্ভবতী মায়েদের জন্য মাছ ভীষণ জরুরি। গর্ভস্থ ভ্রূণের চোখ এবং মাথার উপযুক্ত বিকাশের জন্য মাছ খাওয়া অত্যন্ত দরকার।
তাই আজ আমরা দই কাতলা রেসিপিটা আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক, দই কাতলা তৈরি করতে কি কি লাগছে এবং এর প্রুস্তুতপ্রণালী সম্পর্কে-
উপকরণ:
- কাতলা মাছ- ৬ টুকরো
- টক দই- ৩ টেবিল চামচ
- পেঁয়াজ কুচি- আধা কাপ
- তেজপাতা- ২ টি
- সরিষার তেল- প্রয়োজন মতো
- গোটা গরম মসলা- প্রয়োজন অনুযায়ী
- শুকনো লঙ্কা- ২ টি
- লবণ- স্বাদ অনুযায়ী
- হলুদ গুঁড়ো- ১ চা চামচ
- শুকনা মরিচ গুঁড়ো- ২ চা চামচ
- গরম মসলা গুঁড়ো- ১ টেবিল চামচ
- পাকা টমেটো পেস্ট করা- আধা কাপ
- পেঁয়াজ বাটা- ২ চা চামচ
- চামচ ধনে ও জিরা বাটা- ১ চা চামচ
- কাঁচা লঙ্কা চেরা- ২ টি।
প্রুস্তুতপ্রণালী:
প্রথমেই মাছগুলোকে পরিষ্কার করে ধুয়ে নিতে হবে। এরপর মাছগুলোতে সামান্য তেল, লবণ, হলুদ, লঙ্কার গুঁড়ো, সামান্য লেবুর রস দিয়ে মাখিয়ে ১০ মিনিটের জন্য রেখে দিন।
১০ মিনিট বাদে কড়াইয়ে বেশ খানিকটা সরিষার তেল দিয়ে তেলটা গরম হয়ে এলে মাছ গুলো লাল করে ভেজে তুলে নিন। এবার মাছ ভাজা তেলে আরোও কিছুটা সরিষার তেল দিয়ে দিন। এরপর এতে গোটা গরম মসলা, তেজপাতা ও দুটো শুকনো লঙ্কা ফোড়ন দিন এবং এগুলো একটু ভালো করে ভেজে নিন।
ভাজা হয়ে গেলে ওর মধ্যে বেটে রাখা সব মসলা, হলুদ গুঁড়ো ও লবণ দিয়ে ভালো করে কষিয়ে নিন। এবং হাফ চামচ চিনি দিয়ে দিন স্বাদের জন্য। এরপর ৫ থেকে ৬ মিনিট মসলাগুলোকে ভালো করে কষিয়ে নিন।
মসলাটা ভালো করে কষানো হয়ে গেলে এবং মসলার গা থেকে যখন তেলটা ছেড়ে দেবে তখন এর মধ্যে টমেটো পেস্ট দিয়ে দিন। আর দিয়ে দিন তিন চামচ ফেটানো টক দই।
এরপর আবারো সবগুলো মিশ্রণকে তিন থেকে চার মিনিট ভালো করে কষিয়ে নিন। মসলার থেকে তেল ছেড়ে দিলে এর মধ্যে ভেজে রাখা মাছের টুকরোগুলো দিয়ে দিন আর ঝোলের জন্য সামান্য পরিমাণে পানি দিয়ে ঢাকনা চাপা দিয়ে রান্না করুন ৫ মিনিটের জন্য।
এরপর ঝোলটা একটু মাখা মাখা হয়ে এলে দুটো চেরা কাঁচা লঙ্কা, এক চামচ গরম মসলা গুঁড়ো দিয়ে কয়েক সেকেন্ড রেখে নামিয়ে গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন সুস্বাদু দই কাতলা।