ত্বকের যত্নে গোলাপের পাঁপড়ি।

যুগ যুগ ধরে ত্বকের যত্নে গোলাপ ফুল ব্যবহার হয়ে আসছে। গোলাপ এতটাই সুন্দর একটি ফুল যে এর তুলনা অন্য কোনো ফুলের সাথে করা সম্ভব নয়। গোলাপ দেখতে যতটাই সুন্দর ঠিক ততটাই মনোমুদ্ধকর এর ঘ্রাণ।

প্রাচীনকাল থেকে গোলাপ সুন্দর ফুলের নির্যাস ত্বকের যত্নে নানান প্রসাধনী যেমন- লোশন, তেল ও টোনার তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। গোলাপের নির্যাস ত্বক আর্দ্রকারী ও প্রদাহরোধী উপাদানে সমৃদ্ধ।

এছাড়াও গোলাপ ত্বকের যত্নে অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। আবার গোলাপের সুঘ্রাণ মানসিক চাপ কমাতেও সাহায্য করে। উজ্জ্বল, টানটান ও মসৃণ ত্বক পেতে গোলাপ ফুল বেশ কার্যকর।

গোলাপ জলের থেকে ফুলের পাঁপড়ি ত্বকের জন্য বেশি উপকারী। গোলাপের পাঁপড়ি ত্বকের রুক্ষতা ও কালচে ভাব দূরে রাখতে সাহায্য করে। আসুন এবার জেনে নেওয়া যাক, স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ত্বকের জন্য কীভাবে মুখে গোলাপের পাঁপড়ি ব্যবহার করবেন সে সম্বন্ধে-

ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে:

ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে গোলাপের জুড়ি নেই। গোলাপের কয়েকটি পাঁপড়ি কাঁচা দুধে ভিজিয়ে রাখুন। আধ ঘণ্টা পর এই পাঁপড়িগুলো বেটে নিন এবং এর সাথে ১ চা চামচ মধু মিশিয়ে নিন।

এই মিশ্রণটি পুরো মুখে লাগিয়ে ১০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর কুসুম গরম পানিতে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এটি ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে ত্বককে করে তুলবে কোমল ও মসৃণ।

ত্বকের বলিরেখা দূর করতে:

গোলাপ ফুল বলিরেখা দূর করতেও সাহায্য করে। কয়েকটি গোলাপের পাঁপড়ি ভালো করে বেটে নিন। এর সাথে ত্বক তৈলাক্ত হলে লেবুর রস, শুষ্ক হলে কমলার রস এবং মিশ্র হলে শসার রস মিশিয়ে নিন। এরপর এ মিশ্রণটি ভালো করে প্রতিদিন ত্বকে লাগান। বলিরেখা তো দূর হবেই সেই সঙ্গে ত্বকের উজ্জ্বলতাও বৃদ্ধি পাবে।

ব্রণের সমস্যা দূর করতে:

গোলাপ ফুল বেটে বেশনের সঙ্গে মিশিয়ে মুখে লাগান। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত এই পেস্ট ব্যবহার করলে ব্রণ ওঠা থেকে মুক্তি পাবেন ।এছাড়া এটি ব্যবহার ব্রণের দাগ থেকে ও সহজে মুক্তি পাওয়া যাবে।

রোদে পোড়া দাগ দূর করতে:

বাইরে থেকে এসে ফ্রিজে রাখা গোলাপ ফুল ভেজানো পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে পারেন। অথবা গোলাপ ফুল ভেজানো পানি বরফ করে মুখে ঘষতে পরেন। এটি ত্বকের রোদে পোড়া দাগ দূর করতে সাহায্য করে।

শুষ্ক ও অনুজ্জ্বল ত্বকের যত্নে:

ত্বক শুষ্ক ও অনুজ্জ্বল হলে গোলাপ ফুল বেটে মধুর সঙ্গে মিশিয়ে ত্বকে লাগান। ১৫মিনিট পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত এই পেস্ট ব্যবহার করলে ত্বক হয় উজ্জ্বল, কোমল ও মসৃণ।

ঠোঁটের কালার উজ্জ্বল করতে:

গোলাপ ঠোঁটের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে কার্যকরি ভূমিকা রাখে। এটি শুধু ঠোঁটের উজ্জ্বলতাই বৃদ্ধি করবে না পাশাপাশি ঠোঁটকে অনেক সফট এবং গোলাপি করে তোলে। এছাড়াও গোলাপের পাপড়ি ঠোঁট ফাটা দূর করতে সাহায্য করে।

দুধের সর এবং কয়েক ফোটা মধু গোলাপের পাপড়ির সাথে মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন। তারপর পেস্টটি ঠোঁটে লাগিয়ে নিন। ১৫-২০ মিনিট রাখুন এরপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।