জন্মের প্রথম বছরে শিশুর মেধা বিকাশে বাবা মায়ের করণীয় বা সাহায্যকারী টিপস।
আপনারা নতুন বাবা-মা হয়েছেন। আপনাদের সাথে সাথে পরিবারের সবাই ভীষণ খুশি। কিন্তু এটাও মাথায় রাখতে হবে যে, শিশুর জন্মের পর থেকে প্রথম বছর ও দ্বিতীয় বছর তার শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এই সময়ের কার্যকলাপের উপরে শিশুর পরবর্তী জীবনের বুদ্ধিমত্তা অনেকটা নির্ধারণ হয়ে থাকে।
অনেকে হয়তো মনে করতে পারেন এ সময় শিশুর মেধা বিকাশের জন্য তেমন কোন কিছুরই প্রয়োজন নেই। কিন্তু এই অবহেলায় শিশুর পরবর্তী জীবনের জন্য মানসিক সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
শুধু নিজের কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকবেন না। শিশুকে সময় দিন। শিশুর ছয় মাস বা আট মাস পার হয়ে গেছে। শিশু স্বাভাবিক খাবার খাওয়া শুরু করেছে। এখন তার সাথে খেলুন।
যে খেলা বা কার্যাবলীতে শিশু দারুণভাবে প্রতিক্রিয়া দেখায় বা সাড়া প্রদান করে সেরকম একটি খেলা হলো: তার পেটে বা হাতের তালুতে আঙ্গুল রাখুন এবং ধীরে ধীরে আপনার আঙ্গুলদুটি তার দিকে হাঁটার ভঙ্গিতে আস্তে আস্তে তার বগলের দিকে এগোন এবং আলতো করে তাকে সুড়সুড়ি দিয়ে কিছু একটা বলুন।
গেমটি ভিন্নতা আনার জন্য, আপনার আঙ্গুলগুলি ধীরে ধীরে বা দ্রুত সরিয়ে দিন, অথবা তাকে সুড়সুড়ি দেওয়ার আগে বিভিন্ন সময় অপেক্ষা করুন। আপনি হাসতে বা squealing দ্বারা তার আনন্দ বা উপভোগ্য সুন্দর মুহূর্ত দেখতে পাবেন।
জন্মের প্রথম বছরে শিশুর মেধা বিকাশে বাবা মায়ের করণীয়:
শিশুর চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলা:
শিশুর চোখের দিকে তাকিয়ে অনেকটা সময় জুড়ে কথা বলা।একবার দুইবার নয় বারবার কথা বলা।
বারবার কথা বলা ও গল্প করা
ছড়া বা কবিতা শোনান:
শিশুকে বিভিন্ন রকমের গল্পের বই পড়ে শোনান, ছড়া পড়ে শোনান। কোলে নিয়ে একটু গুন গুন করে গান করুন ও হাঁটুন। দেখবেন সে কতটা ভালো অনুভব করছে।
শিশুর নাম ধরে ডাকুন:
শিশুর নাম ধরে বারবার ডাকা। তাকে বিভিন্ন সাধারণ কথা শেখান। এতে শিশু মূল ব্যবহৃত শব্দ গুলো সহজে ও দ্রুত আয়ত্ত করতে পারবে।
যদি দেখা যায় যে আপনার সন্তান কোন নির্দিষ্ট বিষয় বারবার আনন্দিত হচ্ছে কিংবা নিজের উৎফুল্লতা প্রকাশ করছে তবে শিশুর সঙ্গে সেই কথাই বারবার বলুন।
যেমন- অনেকসময় শিশুরা নির্দিষ্ট কোনো খেলনা, কোন মিউজিক বা কোন নির্দিষ্ট ব্যক্তি দেখলে আনন্দ পায়। এর প্রক্রিয়া যাতে সব সময় আপনার সন্তানের সাথে ঘটে সেদিকে নজর দিন।
শিশুর সাথে হাসুন:
আপনার সন্তানের সাথে হাসুন এবং হাসুন। আপনি শীঘ্রই আপনার শিশুর হাসি বিনিময়ে দেখতে পাবেন।
ধৈর্য্য হারাবেন না:
আপনার সন্তান কি বলতে চাচ্ছে বা কি বোঝাতে চাচ্ছে তা যথেষ্ট সময় নিয়ে ও ধৈর্য নিয়ে বুঝতে চেষ্টা করুন। তার ব্যাপারটি বুঝতে পারছেন না বলে অযথা রাগ করবেন না বা ধৈর্য হারাবেন না। এতে শিশুর মানসিক সমস্যা তৈরি হতে পারে।
রংবেরঙের খেলনা, পোশাক, আলো দেখান:
শিশুর চোখের সামনে সবকিছু রঙিন রাখতে চেষ্টা করুন। রঙিন কাগজ, রঙিন খেলনা, এসব শিশুর মেধার বিকাশ ঘটাতে সাহায্য করে। অন্ধকার ও স্যাঁতস্যাতে পরিবেশে শিশুকে রাখবেন না।
সূত্রঃ
https://www.unicef.org/parenting/child-development/baby-tips