ছোটবেলায় ১ টাকা ২ টাকার জন্য মায়ের পিছনে ঘুরঘুর করতাম।এখন পকেটে হাজার হাজার টাকা কিন্তু
কাঁদালি রে, অনেক মিছ করি মা তুমাকে। একদম সঠিক কথা। এখন আনন্দটা হারিয়ে গেছে। ছোটবেলায় ১ টাকা ২ টাকার জন্য মায়ের পিছনে ঘুরঘুর করতাম। এখন পকেটে হাজার হাজার টাকা কিন্তু ১ টাকা ২ টাকার মজাটা আর নেই।
সেই দিন গুলো আবার যদি ফিরে পেতাম, আবার আমার বাবারে যদি ফিরে পেতাম, চলে গেছে না ফেরার দেশে। এক টাকার জন্য, আমি মাটিতে শুয়ে নাগিন নাগিন নাচ করতাম।
অনেকেই বলে থাকেন সেই দিনগুলো যদি ফিরে পেতাম। আবার যদি ছোটবেলায় ফিরে যেতে পারতাম। আমরা জানি, ছোট বেলার সেই দিনগুলো আর আসবে না কভু ফিরে, সবকিছু এভাবে হারিয়ে যাই কালের অতল গহ্বরে। তাই চিন্তা করি আর কাঁদি।
একদম সত্যি কথা। ছোটবেলাটা সত্যিই খুব ভালো ছিল। এখন আর সেই আনন্দ সেই সুখ নেই। এখন মনে হয় সে সব স্বপ্ন ছিল,সেই ছোট বেলার কথা মনে পরলে আজও ভাবুক হয়ে যাই।
অনেকে বলবেন আমার বাবা চাকরি করতেন। প্রতি দিন ইস্কুলের টিফিনের জন্য ১০ ও ২০ পয়সা দেয়, ১০ পয়সার ঝালমুড়ি, আর ৫ পয়সার দুটি ঘুড়ি ৫ পয়সার মান্জা অনেক আনন্দে খেলা করতাম।
সময় খুব মূল্যবান বস্তু। আমাদের বয়স নেই। হয়তো আমাদের বাচ্চারা সেই সময় উপভোগ করছেন। আমি ২ টাকার মিঠাই খাওয়ার জন্য অনেক সময় মায়ের পিছন পিছন ঘুরতাম। ১ টাকায় ৪ টা চকলেট তাও কি স্বাদ ছিলো তখন।
অনেকে বলবেন আমাদের সময়ে আমরা এক পয়সার জন্য ঘুরঘুর করতাম কিংবা মায়ের গোপন টাকা রাখার বাক্স বা বাবার পকেট থেকে বা ঠাকুরের আসন থেকে চুরি করতাম।
আবার সেই একপয়সা দিয়ে ল্যবেনচুশ (লজেন্স) কিনে খেতাম। সেই সব দিনের এক পয়সার আনন্দ এখনও জীবন ফ্রেমে বাঁধা আছে।
মায়ের আঁচলে বাঁধা ১/২ টাকা বাবার মাথার ঘাম পায়ে ফেলা টাকা । আর এখনকার সময়ে কিছু বাবার অবৈধ অর্থের মূল্য সন্তানদের কাছে না থাকাটাই স্বাভাবিক।
সৎ পথের উপার্জনের জোর এতোটাই যে সামান্য কিছু টাকায় বাজারের ব্যাগ ভরে যেত । সন্তানদের লালন পালনের পরও ভবিষ্যতের সঞ্চয় থাকতো। আর এখন সঞ্চয় মানেই বেশিরভাগই পাপকে বেছে নেওয়া মানে অসৎ পথে টাকা উপার্জন।