চুলে রং করা কি চুলের জন্য ক্ষতিকর?
চুল সুন্দর হলে তা আমাদের বাহ্যিক সৌন্দর্য অনেকটাই বাড়িয়ে তোলে। তাইতো চুলের সৌন্দর্য বাড়াতে আমাদের নানারকম প্রচেষ্টা। বিভিন্ন ধরনের চুলের কাট দিয়ে কিংবা বিভিন্ন রঙে রাঙিয়ে সাজানো হয় চুল।
চুলে রং যে শুধু মেয়েরা করেন তা কিন্তু নয়, ফ্যাশন সচেতন পুরুষেরাও চুলে রং করে থাকেন। দেখতে যতই সুন্দর লাগুক, চুলে রং করলে দেখা দিতে পারে কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। আর একথা আমাদের অনেকেরই অজানা।
অতিরিক্ত চুলের রং ব্যবহার করলে চুল ঝরে যাওয়ার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। চুল রংয়ের ক্ষতিকর রাসায়নিক চুলের ফলিকল একেবারেই নষ্ট করে দেয়। ফলে চুলের মাঝখান থেকে চুল ভেঙে যেতে শুরু করে এবং নতুন চুল গজানোতেও বাধা সৃষ্টি করে।
চুলে রং করার ক্ষতিকর দিকগুলি:
চলুন জেনে নেওয়া যাক, চুলে রং করলে কি কি ক্ষতি হয় চুলের –
চুল ফেটে যায় :
চুলে রং করলে চুল রুক্ষ হয়ে ফেটে যায়। আগা ফাটা ছাড়াও চুল মাঝে দিয়ে ফেটে ফেটে ঝরে যাওয়ার মত সমস্যা দেখা দেয়। এছাড়া চুল পাতলা হয়ে যায় আস্তে আস্তে। এধরণের সমস্যা হলে ফেটে যাওয়া চুল কেটে ফেলা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকে না।
চুলের বাইরের স্তর নষ্ট করে :
চুলে রং করা মাত্র সেটি বেশ কয়েকটি বাধা পেরিয়ে তারপর চুলের অন্দরে গিয়ে পৌঁছায়। তবেই কালারটা দীর্ঘদিন স্থায়ী হয়। এই বাধাগুলো পেরনোর সময় ধীরে ধীরে চুলের মারাত্মক ক্ষতি হয়।
প্রথমে চুলের একেবারে বাইরের যে দেয়াল রয়েছে সেটিকে ভেঙে দেয় অ্যামোনিয়া, তবেই হেয়ার কালারটি ভিতরে ঢুকতে পারে। আর এই দেয়ালটা ভেঙে যাওয়ার কারণে চুলের মারাত্বক ক্ষতি হয়। ফলে চুলের বাইরের স্তর নষ্ট হয়ে যায়।
চুল ঝরে যায় :
চুলে রং করার কারণে চুল ঝরে যায়। কারণ রঙের ক্ষতিকর রাসায়নিক চুলের ফলিকল নষ্ট করে দেয় একেবারেই। ফলে ঝরতে শুরু করে চুল। এমনকী চুলের মাঝখান থেকে ভেঙে ঝরে যেতে দেখা যায়। এই সমস্যা মাধ্যমে কমিয়ে দেয় নতুন চুল গজানোরও পরিমাণ।
প্রকৃত রং নষ্ট হয়ে চুলের স্বাস্থ্য খারাপ হয়:
চুলের প্রথম দেয়াল ভেঙে দেয়ার পর দ্বিতীয় ধাপে হেয়ার কালারে উপস্থিত পারোঅক্সাইড ধীরে ধীরে আমাদের চুলের যে কালো রং রয়েছে তাকে ঘষে ঘষে তুলে দিতে শুরু করে। আর প্রাকৃতিক কালারের জায়গা নেয় কৃত্রিম কালার।
একদিকে চুলের দেয়াল নষ্ট, অন্যদিকে পরোক্সাইডের মতো বিষ চুলের ভেতরে প্রবেশ করছে। এমনটা হলে চুলের স্বাস্থ্য একেবারেই নষ্ট হয়ে যায়।
চুলের উজ্জ্বলতা কমে যায় :
চুলে রং করার ফলে চুলের উজ্জ্বলতা একদমই কমে যায়। পরোক্সাইডের মতো বিষ চুলের ভেতরে প্রবেশ করার ফলে প্রাকৃতিক কালারের জায়গা নেয় কৃত্রিম কালার।
এর ফলে চুলের যে প্রাকৃতিক কালো রং রয়েছে তা একদমই থাকে না। চুলের উজ্জ্বলতা একদমই কমে যায়।