চুলের আগা ফাটার কারণ।
চুলের আগা ফাটা খুবই বিরক্তিকর চুলের সমস্যা। এটি চুলের সৌন্দর্য্য নষ্ট করে দেয়। চুলের আগা ফেটে গেলে আপনি চুল যতই সুন্দর করে বাঁধুন দেখতে ভালো দেখাবে না।
ফাটা চুল ঠিক করার ও তেমন কোন উপায় নাই। একমাত্র নির্ভরযোগ্য উপায় হল কেটে ফেলা। আসলে চুলের আগা ফাটা এটা কোন রোগ না। এটা আসলে আমাদের কিছু ভুলের কারণে ঘটে। চুল যত বেশি লম্বা হবে চুলের আগা ফেটে চুলের নিচের দিক লাল ও পাতলা হয়ে যাওয়ার প্রবণতা ততই বাড়বে।
কারণ চুলের আগা স্ক্যাল্প থেকে অনেক দূরে থাকায় স্ক্যাল্পের সেবাম চুলের আগায় পৌঁছাতে পারে না। এজন্য চুল ড্রাই আর ড্যামেজ হয়ে ফেটে যায়। এছাড়াও শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দিলেও তা চুলে প্রভাব ফেলে এবং চুলের আগা ফেটে যায়।
চুলের আগা ফাটার কারণ
চুলের আগা ফাটার কারণ গুলো কি। নিচে তা দেওয়া হলো –
হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার:
বর্তমান যুগে হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার করে চুল শুকানো একটি অভ্যাস হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেকে প্রতিদিন হেয়ার ড্রায়ার দিয়ে চুল শুকান। যার ফলে চুলের আদ্রতা হিটের কারণে ধীরে ধীরে চলে যায় এবং কিছু বোঝার আগেই পুরো চুল লাল হয়ে ফেটে যায়।
গামছা দিয়ে চুল ঝাড়া:
এটা আমরা সবাই করে থাকি। গামছা দিয়ে চুলের পানি ঝেড়ে চুল শুকায়। এমনকি গামছা দিয়ে গোসলের পড়ে চুল পেচিয়ে রাখলেও তা চুলের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। বিখ্যাত হেয়ার স্টাইলিস্টদের মতে, গোসলের পর চুল থেকে চেপে চেপে পানি বের করে ফেলে দিলে চুল থাকবে সুন্দর ও স্বাস্থ্যোউজ্জ্বল।
অতিরিক্ত শ্যাম্পুর ব্যবহার:
চুলে অতিরিক্ত শ্যাম্পু ব্যবহার করবেন না। কোন ভাবেই কন্ডিশনার মিস করা যাবে না এবং যাদের চুলের ফাটা সমস্যা সব সময় থাকে তারা কোনভাবেই চুলে তেল না দিয়ে শ্যাম্পু করবেন না।
চুগরম পানি ব্যবহার:
চুলে কোন ভাবেই গরম পানি দেবেন না। গরম পানিতে চুল আদ্রতা হারায়। যে কারণে চুল লালচে দেখায় এবং ফাটা শুরু করে।
কৃত্তিম রঙের ব্যবহার:
চুলে রং যে শুধু মেয়েরা করে তা নয়, ছেলেরাও চুলে রং করে থাকে। চুলে রং করলে দেখা দিতে পারে কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। চুলে অতিরিক্ত রং ব্যবহার করলে চুল ঝরে যাওয়ার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। এছাড়াও চুল রুক্ষ হয়ে ফেটে যায়। এবং আগা ফাটা ছাড়াও চুল মাঝে দিয়ে ফেটে ফেটে ঝরে যাওয়ার মত সমস্যা দেখা দেয়।