ঘুম নিয়ন্ত্রণ করবেন কিভাবে?

ঘুম আমাদের জীবনের একটি অন্যতম অংশ। ঘুম ছাড়া আমাদের শরীর সুস্থ্য থাকা সম্ভব নয়। কিন্তু অতিরিক্ত ঘুমের কারণে শরীরে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে।

অনেক সময় দেখা যায় আপনাকে একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ করতে হবে কিন্তু তখন আপনার প্রচুর ঘুম পাচ্ছে।

কাজের সময় ঘুম আসা অসস্থিকর ব্যাপার হয়ে ওঠে। যদি কোনো প্রাপ্তবয়ষ্ক মানুষ ৯ ঘণ্টার থেকে বেশি ঘুমায় তাহলে তা অতিরিক্ত ঘুম হিসেবে ধরা হয়ে থাকে।

অতিরিক্ত ঘুমানো চিকিৎসাবিজ্ঞানে একটি রোগ হিসেবে ধরা হয় এবং একে “হাইপারসোমনিয়া” বলা হয়। এই অতিরিক্ত ঘুম আমরা কিছু অভ্যাসের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি।

ঘুম নিয়ন্ত্রণ করার কিছু উপায় নিচে আলোচনা করা হলো

স্বাস্থ্যকর খাবার:

নিজেকে ঘুম থেকে বিরত রাখতে হলে আমাদের পুষ্টি এবং ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে।

এছাড়া পাশাপাশি মসুর ডাল, সালাদ এবং প্রচুর ফল ও শাকসবজি সমৃদ্ধ স্বাস্থ্যকর খাদ্য তালিকা তৈরি করতে হবে।

সাধারণত যে খাবারে চর্বির পরিমাণ বেশি থাকে সেই সব খাবার আমাদের তন্দ্রাচ্ছন্ন এবং অলস করে দেয়। তাই আমাদের এসব খাবার এড়িয়ে চলা উচিত।

পর্যাপ্ত ঘুম:

ঘুম আসার প্রধান কারণ হলো রাতে পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়া। আমাদের সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রতি রাতে ৭ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুমানো জরুরী।

অতিরিক্ত ঘুমানো যাবে না এবং কমও ঘুমানো ঠিক নয়। একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ঘুমানোর অভ্যাস করতে হবে। এর ফলে আপনার প্রতিরাতে একই সময়ে ঘুম আসবে।

পর্যাপ্ত পানি পান করা:

বেশি ঘুম পাওয়ার আরেকটি কারণ হলো পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান না করা।

একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, ডিহাইড্রেশন আক্ষরিকভাবে মস্তিষ্ককে সংকুচিত করতে এর ফলে আপনি মনোযোগ হারাতে পারেন।

তাই আমাদের প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করা উচিত। একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের প্রতিদিন ২ লিটার পানি পান করা উচিত।

 ঘন ঘন মুখ ধোয়া:

জেগে থাকার জন্য সর্বাধিক ব্যবহারিত উপায় হলো যখন ঘুম পাচ্ছে তখন মুখ ধুয়ে নেওয়া। এটি পরীক্ষিত পদ্ধতি।

যখনই চোখ ভারী লাগবে তখন ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে তাহলে ঘুম ঘুম ভাব চলে যাবে।

ক্যাফিনেটেড পানীয় পান করা:

ঘুম পেলে কফি বা অন্যান্য পানীয় পান করা যেতে পারে। এর ফলে আপনার শক্তিকে বাড়িয়ে তুলবে। তবে মাথায় রাখতে হবে যে এ এনার্জি অল্পের জন্য স্থায়ী হতে পারে।

এছাড়া বেশি ক্যাফিন আপনার শরীরের পক্ষে ভালো নয়। একদিনে ৫০০-৬০০ মিলিগ্রামের বেশি পরিমাণ ক্যাফিন পান করা ঠিক নয়।

 আকুপ্রেশার চেষ্টা করা:

যখন খুব ঘুম ঘুম বোধ হয় তখন মানব দেহের ৫ টি অংশে চাপ দিতে পারেন। পয়েন্টগুলি হলো আপনার মাথার উপরের দিকে, হাতের পিছনে, হাঁটুর নীচে, ঘাড়ের পিছনের অংশের উপরে।

চাপ দেওয়ার জন্য আপনি সংক্ষিপ্ত একটি বিরতি নিতে পারেন। এটির ফলে ক্লান্তিদূর হবে এবং আপনি শক্তি ফিরে পাবেন।

আমরা এসব অভ্যাসের মাধ্যমে ঘুম নিয়ন্ত্রণ করতে পারি।