ঘরের ভিতরে বা ইনডোর প্লান্টের যত্ন নেওয়ার উপায়।
নগরায়নের ফলে শহরকেন্দ্রিক জীবনে দিন দিন গাছের পরিমাণ কমে আসছে। তাই প্রাণ ভরে সবুজ দেখা বা ফ্রেশ অক্সিজেন গ্রহণ বেশ দুরূহ হয়ে পড়ছে।
আজকাল শহরের অনেকেই ছাদ বাগান, ব্যালকনি বাগান ইত্যাদি করেন যা আমাদের পরিবেশের জন্য ভালো।
অনেক গাছ আছে যেগুলি বৃদ্ধির জন্য খুব বেশি আলো বাতাসের প্রয়োজন হয় না। এই গাছগুলি আমরা আমাদের ঘরের মধ্যে রাখতে পারি।
এতে ঘরের মধ্যে বিশুদ্ধ অক্সিজেনের প্রবাহ যেমন বাড়বে তেমনি ঘরও ঠান্ডা থাকবে। শুধু ঘরের ভিতরে গাছ লাগালেই হবে না তার পরিচর্যাও প্রয়োজন।
ইনডোর প্লান্ট ভালো রাখার জন্য সঠিক পরিচর্যা প্রয়োজন। যেহেতু ইনডোর প্লান্ট ঘরের ভেতরে থাকে, তাই বাগানে বেড়ে ওঠা গাছের পরিচর্যার মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে।
ঘরের ভিতরে বা ইনডোর প্লান্টের যত্ন নেওয়ার উপায়
চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক, ঘরের ভিতরে বা ইনডোর প্লান্টের যত্ন নিতে যা করবেন-
- অনেক পাতার আগার অংশ খয়েরি বা নিচের অংশ হলুদ হয়ে পড়ে। এমন হলে বুঝতে হবে গাছে অতিরিক্ত পরিমাণে পানি দেওয়া হয়েছে। এই অবস্থায় প্রথমে টবের সম্পূর্ণ মাটি শুকিয়ে নিতে হবে। গাছের গোড়ায় ঘন ঘন পানি দেওয়া যাবে না।
- অতিরিক্ত পানি দিলে যেমন গাছের ক্ষতি হয়, একইভাবে কম পানি দিলে গাছের সজীবতা নষ্ট হয়ে যায়।
- গাছের ফুল বা পাতার রং হালকা হয়ে গেলে গাছটি ঠাণ্ডা বা আলো কম পৌঁছায় এমন জায়গায় রাখুন। তবে গাছের নতুন চারা ঠিকমতো না বাড়লে তখন টব বারান্দায় রাখুন। আলো-বাতাস পেলে গাছ ঠিকমতো বড় হবে এবং ফাংগাস জন্মাবে না।
- পাতার আগার অংশ অনেক সময় কুকড়ে শুকিয়ে যায়। রুমের তাপমাত্রা বেড়ে গেলে এ সমস্যা হয়। তাই এমন হলে সঙ্গে সঙ্গে গাছ সরিয়ে ঠাণ্ডা স্থানে রাখুন।
- গাছের গোড়ায় পানি জমে থাকতে দেবেন না। তাহলে গাছের গোড়া পচে যেতে পারে। প্রতিদিন পানি না দিলেও চলবে। গাছে পানি দেওয়ার আগে টবের মাটি হাতে দিয়ে চেপে চেপে দেখুন। ভেজা ভাব থাকলে পানি দেওয়ার প্রয়োজন নেই।
- পোকামাকড়ের হাত থেকে গাছ রক্ষা করতে মাঝে মাঝে জীবাণুনাশক স্প্রে করতে হবে।
- গাছ পরিষ্কার করতে চাইলে শাওয়ারের নিচে গাছগুলো রেখে হালকা পানি ব্যবহার করবেন। গাছের গোড়ার অংশ ও তার চারদিক প্লাস্টিক বা পলিথিন দিয়ে মুড়িয়ে নিবেন। এতে গাছের সব মাটি ধুয়ে নষ্ট হয়ে যাবে না।
- ঝরেপড়া ফুল বা শুকনো পাতা টবের ভেতর থেকে ফেলে দেবেন। তাহলে গাছ ভালো থাকবে। গাছে কুঁড়ি দেখা দিলে গাছ ঘরের এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় নিয়ে রাখবেন না।